স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
স্বাগত ১৪২৩। শুভ নববর্ষ। পুরাতন বছরের জরা, ক্লান্তি, গ্লানিকে পেছনে ফেলে চির নতুনের ডাক দিয়ে এলো পহেলা বৈশাখ। রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতী সঙ্গীতায়োজনে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষের উৎসব। ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশা, বয়সনির্বিশেষে সব মানুষ শামিল হয়েছেন বৈশাখী উৎসবে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বৃহস্পতিবার মানবতার মর্মবাণী ধারণ করে স্বাগত জানানো হলো ১৪২৩ বঙ্গাব্দকে। সকাল ৬টার পর পরই প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এবার তাদের অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ‘স্বদেশ ও সমপ্রীতি’।
ভোরের রাগালাপ দিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান শেষ হবে ড. সনজীদা খাতুনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। ১৫টি একক গান, ১২টি সম্মেলক গান, ৩টি আবৃত্তি ও পাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের অনুষ্ঠান।
এবারের নববর্ষ আসছে প্রকৃত অর্থে বাঙালি জাতির নতুন করে জেগে ওঠার তাগিদ নিয়ে। বটমূলের আয়োজনের এবার ৪৯ বছর। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান আমলে প্রতিকূল পরিবেশে বাঙালির আপন সত্তা জাগিয়ে তোলা এবং আপন সংস্কৃতিতে বাঁচবার বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার মানসে বাংলা বছরকে আবাহন জানাবার উদ্যোগ নেয় ছায়ানট।
গত প্রায় ৫ দশক ধরে দেশপ্রেমে সমৃদ্ধ পূর্ণাঙ্গ বাঙালি হয়ে ওঠার, পুরাতনের আবর্জনা দূর করে নতুন সৃজনের প্রত্যয়ে উদ্দীপ্ত হওয়ার, মানুষকে ভালবেসে সবার সঙ্গে মিলে নবযাত্রায় শামিল হওয়ার প্রেরণাসঞ্চারী প্রভাতী সঙ্গীতায়োজন করে আসছে মানুষের ভালবাসাধন্য এই সংগঠন।
প্রাণিত করেছে আপামর বাঙালিকে। দিনে দিনে বাংলা নবর্বষের অনুষ্ঠান প্রসারিত হয়েছে সারাদেশে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষ উৎযাপন আজ বাঙালির সবচেয়ে বড় মিলনমেলা, রূপান্তরিত হয়েছে জাতীয় উৎসবে।