বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
পুলিং এজেন্ট কে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষ সিল মারার অভিযোগ তুলে আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত ও পূর্নরায় ভোট গ্রহণের জন্য চীফ রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছে বিএনপির মেয়র প্রার্থী থানা মহিলা দলের সভানেত্রী পারভীন আক্তার ।
বুধবার ( (২৫ জুলাই ) বেলা সাড়ে এগারোটায় আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরে দুপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে করে তিনি নির্বাচন স্থগিত ও পূর্নরায় ভোট গ্রহণের আবেদন জানান ।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী পারভীন আক্তার বলেন, সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করেন । সকাল নয়টার দিকে আমি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে যাই । যেয়ে দেখি আমার পুলিং এজেন্ট কে মারধর বের করে দিয়ে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারছে । এসময় আমি কামরাঙ্গীরচর ১ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে আমাকে কর্তব্যরত পুলিশ এসআই জামাল ঢুকতে দেয়নি । আমি নিজেকে মেয়র প্রার্থী পরিচয় দিলেও তিনি আমাকে চলে যেতে বলে । এ সময় আমার ২২ জন পুলিন এজেন্ট কে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং আনোয়ার হোসেন নামের একজন পুলিন এজেন্টদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে । তাদের কে বিভিন্ন স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, আমি সকাল থেকেই মৌখিকভাবে রিটার্নিং অফিসার কে জানাইছি । তারা তা কোন আমলে নেয়নি । পরিবর্তীতে আমি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করে এসে সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফরোজা খাতুনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি । পরে আমি চীফ রিটার্নিং অফিসার, র্যাব ১১ এর সিইও ও জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাচন স্থগিত ও পূর্নরায় ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন করেছি । যদি আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি আইনীর আশ্রয় নিবো ।
এদিকে দুপুরে পুলিন এজেন্ট কে মারধর ও প্রকাশ্যে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে গোপালদী পৌরসভার নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মুশফিক রহমান মিলন ।
এ ব্যপারে রিটার্নিং অফিসার কর্মকর্তা জানায়, লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তা আমরা হাতে পেয়েছি তবে এরকোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৮টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রের ২০টি ভোটকক্ষে বিরতিহীনভাবে চলবে আড়াইহাজার পৌরসভা নিবার্চনের ভোটগ্রহণ।
৪ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালায় প্রর্থীরা। আড়াইহাজার পৌরসভায় মেয়র পদে ২, সাধারণ পদে ৩৪ ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১১জন।
গোপালদী পৌরসভায় মেয়র পদে ২জন, সাধারণ (কাউন্সিলর) পদে ২৯ ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দুই পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৪৯,০৮৫জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২৪,২৫৩জন, পরুষ ভোটার ২৪,৮৩২জন। আড়াইহাজার পৌরসভাং নং ওয়ার্ডে ভোটার- ১, ৮৮৬জন, ২ নং-১, ৬৭৪জন, ৩নং-১,৫৫৬জন, ৪নং-২,২৮৯জন, ৫নং- ৩,০৭৩জন, ৬নং-১, ২৩৬জন, ৭নং- ২,২২১জন, ৮নং- ৩,৩২৭জন, ৯নং ওয়ার্ডে – ২,৩৩৭জন। এখানে ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬২টি। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা -৯টি।
গোপালদী পৌরসভায় ১নং ওয়ার্ডে ভোটার ২,০২১জন, ২নং- ১,৮৮৭জন, ৩নং- ৩,২৫৩জন, ৪নং- ২,৫৯২জন, ৫নং- ২,০৪৭জন,৬নং- ১,৯১২জন,৭নং- ২,৯৮০জন, ৮নং- ৩,৩২৩জন,৯ নং-৮,৩১৩জন। ভোট কক্ষের সংখ্যা-৮৫টি। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা -১১টি।
এর আগে রিটার্নিং অফিসার ফয়সাল কাদের জানান, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবে। যে কোনো অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিতে বলেছি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় পুলিশের পাশাপাশি ভোটের মাঠে রয়েছে র্যাব, বিজিবি ও ম্যাজিস্ট্রেট।