আগামী নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে চাই। ইভিএমের চাইতে ব্যালটে নির্বাচন পদ্ধতি সহজ। সাধারণ মানুষের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে চাষাড়ার আলী আহম্মদ চুনকা পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নগর যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)।
এসময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে নায়েবে আমির বলেন সংস্কার না করে নির্বাচন হলে নতুন করে আবার স্বৈরাচারের জন্ম হবে। আমরা সেটা চাই না। জামায়াতে ইসলামের সাথে জোট বেঁধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে যারাই আমাদের সাথে জোট করতে চায় আমরা তাদের সাথেই জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে চাই।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে করা এক প্রশ্নে ফয়জুল করিম বলেন, যেই এলাকায় অপরাধ ঘটবে সেই এলাকার দায়িত্বরত ওসিকে সাথে সাথে বরখাস্ত করতে হবে। কোন বদলি নয়। সরাসরি চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। যদি এমন আইন করা হয় যে এলাকায় অপরাধনীতে হবে সেই এলাকার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে সাথে সাথে চাকরিচ্যুত করা হবে তাহলে দেখবেন অপরাধ,দুর্নীতি একদম কমে যাবে।
এসময় যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহাম্মাদ জোবায়ের হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসভায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাছুম বিল্লাহসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। বক্তৃতায় বক্তারা বিগত আওয়ামী সরকারের আমলের দুঃশাসনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী সরকারের সময় যেভাবে রাতের ভোট হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের পর আর সেই রাতের ভোট হবে না। নিজের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে সবাই। বিগত আওয়ামী সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এদেশের ইসলামী দলগুলো। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা। গত জুলাই আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিলো। অনেকে গুলি খেয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি দলকে বিভিন্ন দখলবাজিতে ব্যাস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে। তারা তাদের দলের সর্বোচ্চ ব্যাক্তির কথাকেও মানছেনা। নানা ধরনের অপকর্ম করেই যাচ্ছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজিতে ব্যস্ত রয়েছে দলটি। হাজার প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচারকে সরিয়েছি, নতুন করে আর কেন স্বৈরাচার যাতে প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে সেজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমিরকে এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে। ঘুষ, দুূর্নীতিসহ সকল অনিয়মকে এদেশ থেকে নির্মুল করতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বিকল্প নাই। আমরা চাই এদেশটিকে সুন্দরভাবে গড়তে।