বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিরিন বেগমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল নিয়ে শহরে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন’ উল্লেখ করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকার) ৭৪তম সভায় তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। এই বিষয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উপসচিব মুহাম্মদ রেহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে বিষয়টি জানাজানি ও আলোচনায় আসে ৩ মার্চ শুক্রবার। এই আওয়ামী লীগ নেত্রী শিরিন বেগমের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট নম্বর ছিল ১৯৩১। তবে শিরিন বেগম দাবি করছেন মুক্তিযোদ্ধা সনদ তার হাতে এসে পৌছায়নি।
শিরিন বেগম নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। বতর্মানে নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হওয়া শিরিন বেগম বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্বামী অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
গেজেট মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিরিন বেগম জানান, মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য আবেদন করেছিলাম। অনলাইনে গ্যাজেটে আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখেছি। এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সনদ আমার হাতে এসে পৌছায়নি। আবার সেটা বাতিল করার সংবাদও শুনতে পাচ্ছি। এই বিষয়ে আমি হাই কোর্টে রিট করেছি। মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি সংবাদ সম্মেলন করেছি। এই বিষয়ে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। যেটা হাতে পাইনি সেটা বাতিল হয় কিভাবে।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা বলেন, ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা কমিটিতে আমি সদস্য হিসেবে ছিলাম। শিরিন বেগম মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন সোনারগাও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে তার সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে আপত্তি তুলেন। সবার সিদান্তে তখন তাকে সনদ দেওয়া হয়নি। এরপর কিভাবে যেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে এসেছেন তা আমাদের জানা নেই। বর্তমানে তার সেই সনদ গ্যাজেটে বাতিল হয়েছে শুনেছি এবং অফিসিয়ালী আমাদের কাছে আসলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।