বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের টপটেরর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী শাহ্জাহান গ্রেফতার হলেও আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকায় সক্রীয় রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ্ ওরফে কালা মানিক, চোকলা সাইদুল, ডেক্সী বাবুল ও চাঁদাবাজ হিমেল বাহিনী। এই বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। সম্প্রতি দুধর্ষ কিলার মাষ্টার দেলু র্যাবের হাতে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হলে দেলুর কেইস পাঠনার ও মাদক সন্ত্রাসবাহিনী শাহ্জাহানের নেতৃত্বে এলাকায় নিজেদের বাঁচাতে মিষ্টি বিতরণ করে নাটক সাজিয়েছিল। যার কারণে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। গত বৃহস্পতিবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি’র একটি টিম অভিযান চালিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শাহ্জাহানকে গ্রেফতার করলেও অন্য সন্ত্রাসীরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, পুরাতন আইলপাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শাহ্জাহান ওরফে কৃষ্ণা ও আব্দুল হকের ছেলে শহিদুল্লাহ ওরফে কালামানিক এলাকার মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করে এক বিশাল অস্ত্রধারী বাহিনী গড়ে তোলে বিভিন্ন সরকার আমলে তারাই রাজনৈতিক ক্যাডার হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। যদিও তাদের কোন দলীয় পরিচয় নেই। তার পরও অবৈধভাবে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে এবং কতিপয় অসাধু পুলিশকে ম্যানেজ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শাহ্জাহানের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে এমন একটি অডিও ফাঁস হলেও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা নেই। তার পরেও এলাকাবাসী শাহ্জাহানকে গ্রেফতার করায় ডিবি পুলিশের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। নারায়ণগঞ্জ সদরে একটি হত্যা মামলায় ০৪/১০/১৬ গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি পুলিশ। রবিবার নারায়নগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যানেষ্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানী হবে। ইতিমধ্যে ডিবির কাছে প্রাথমিক ভাবে কিছু স্বীকার উক্তি দিয়েছে বলে জানা যায়। নিহত মাষ্টার দেলু ও জেল হাজতে কারাবন্ধি ছোট দেলুর সাথে শাহ্জাহানের অবৈধ সখতার কথা অকপটে স্বীকার করেছে বলে সূত্রে প্রকাশ। এছাড়া এলাকার সাইদুলকে দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ছোট দেলুর আশ্রয় ও প্র¯্রয় দাতা আব্দুর রহমান সেন্টু এলাকার মধ্যে বিভিন্ন নারীদের উত্যক্ত ও বিভিন্ন নারীদের সাথে অপকর্মে লিপ্ত থাকায় সেন্টুর মেয়ে জুতা পেটা করার পরও সুদরায়নি। খোরশেদ ভান্ডারীর কুখ্যাত ছেলে চাঁদাবাজ হিমেল এলাকার নতুন বাড়ি ঘর ও দোকান পাঠ থেকে চাঁদা দাবি করে মানুষদের হয়রানী করছে। পুলিশ সোর্স হিয়াইলা ইয়াছিন মোড়ের মধ্যে বিভিন্ন দোকান পাটে অত্যাচার করে জোরপূর্বক সদাই নিচ্ছে এবং মাঝে মধ্যে লাথি মেরে দোকানের মালামাল ফেলে দেয়। মঝার ব্যাপার হচ্ছে মাষ্টার দেলুর সহযোদ্ধা শাহ্জাহান, শহীদুল্লাহ্, ছোট দেলু, ইয়াছিন, সাইদুল, হিমেল, সেন্টু সহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন মামলায় কেইস পাটনার হিসাবে রয়েছে। এলাকায় এখন জোরেসরে উচ্চারিত হচ্ছে নিরবহত্যা ও মামলাটি। কারণ শাহ্জাহান শহিদুল্লার হুমুকে নিরবকে দেলু বাহিনী খুন করেছে। সকলের নাম মামলায় থাকলেও বাদী পক্ষ শাহ্জাহান শহীদুল্লাহর ভয়ে মামলায় আসামী করতে পারেনি। তবে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় হত্যার ঘটনার পরের দিন শাহ্জাহান শহীদুল্লাহর জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। শহীদুল্লাহর ফেন্সিডিল এর খবর নিরব গোপন ভাবে পুলিশকে জানালে পুলিশ ফেন্সিডিলসহ শহীদুল্লহর বাহিনীকে গ্রেফতার করে। যার দরুন শহীদুল্লাহ্ দেলু বাহিনীকে দিয়ে জের হিসাবে হত্যা করায়। এছাড়া এই বাহিনীর অন্যান্য সক্রীয় সদস্যের মধ্যে সেনাপতি হিসেবে রয়েছেন সজিব ও রাজীব। তাছাড়া মিষ্টি নাটকের সাথে জড়িত স্বপন, পিলার মনির, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, জিলানী, শওকত আলী মোহন, সোহেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক বিক্রেতা কেটু সুমন, রাজু, উজ্জল, ইস্তি, সাজাপ্রাপ্ত আসামী চঞ্চল সহ আরো কয়েকজন। বিভিন্ন অপরাধের অপরাধী পাঞ্চায়েত কমিটির নেতা পরিচয় দানকারী দেলোয়ার হোসেন বাবুল ওরফে ডেক্সী বাবুল, বিমান ও কেরাম বাবুল সহ আরো চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসীরা আইলপাড়া, পাঠানটুলী এলাকায় সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিথ্যা মামলা। যখনই উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তার জীবন যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে তেমনি ভাবে ঐ সকল মাদক সন্ত্রাসীরা সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিজেরাই স্বাক্ষী হিসেবে থেকে হয়রানী করছে। এদিকে শাহ্জাহানের কাছের লোক হলেও এক সময়ে ডি.এইচ বাবুলকে ভাই ভাই সংঘ থেকে বহিস্কার করলে সেই ক্ষোভের কারণে ডি.এইচ বাবুলের নেতৃত্বে সেন্টু ও বিমান বাহিনী শাহ্জাহানের গ্রেফতারের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি র্যাব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে এলাকাবাসী আশাবাদী।