বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার ২৩ আসামীর মধ্যে নূর হোসেন, তারেক মুহাম্মদ সাঈদ সহ ৪ আসামীর সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহন ৩১ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নুর হোসেন, তারেক সাইদ মোহাম্মদ, লে: কর্ণেল এমএম রানা ও মেজর আরিফ এই ৪ জনের ৩৪২ ধারায় সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার ২৩ আসামীর মধ্যে নুর হোসেন, তারেক সাইদ মোহাম্মদ, লে: কর্ণেল এমএম রানা ও মেজর আরিফ এই ৪ জনের ৩৪২ ধারায় সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ তুলে ধরলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহন ৩১ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে ১০ অক্টোবর মামলা প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।
জানা গেছে, সাত খুনের পর প্রথমে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হয়। তখন মামলাটি তদন্ত করেন থানার এস আই ফজলুল হক। ইতোমধ্যে তিনি মারা গেছেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হলে ২০১৪ সালের ৩ মে হতে ৭ মে পর্যন্ত তদন্ত করেন ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা আউয়াল তদন্ত করেন। শেষে তিনি বদলী হলে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডলকে। তিনিই মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করেন। এখন পর্যন্ত সাতখুন মামলার দুই মামলায় মোট ১০৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছে।