বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই কলঙ্ক বিএনপির সৃষ্টি। এই কলঙ্ক তৎকালীন জোট সরকারের।
সোমবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমীতে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের আলোচনা সভা ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গ্রেনেড হামলা দিবস স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতিতে অনেকের নামে সৌজন্য পোস্টার দেখি। সৌজন্য ব্যানার দেখি। সৌজন্য বিলবোর্ড ও তোরণ দেখি। কিন্তু রাজনীতি থেকে সৌজন্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সে জুনিয়র হলেও তার প্রাপ্য সম্মানটুকু তাকে দিতে হবে।
কারণ, এটা আমাদের শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । শিখিয়েছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা শিখিয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মনি।
গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেই দিনের ঘটনার প্রাইম টার্গেট ছিলেন নেত্রী শেখ হাসিনা। ওই ১৫ আগস্ট এবং এই ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। আর ২১ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা।
গ্রেনেড হামলার সময়কালীন সরকারের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভাবতে অবাক লাগে, একটি রাজনৈতিক দল এই ঘটনার জন্য যে কতটা শঠতার আশ্রয় নিতে পারে ২১ আগস্টই তার প্রমাণ। মির্জা ফখরুল এখন কলঙ্ক বলছেন। এই কলঙ্ক কাদের সৃষ্টি। এই কলঙ্ক বিএনপির সৃষ্টি। এই কলঙ্ক তৎকালীন জোট সরকারের। এই কলঙ্ক হাওয়া ভবনের।
বিএনপি দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত দুটোতেই কালিমা লেপন করেছে এই ২১ আগস্ট ঘটনার মাধ্যমে। এই কলঙ্ক বিএনপি কোনদিন মুছে ফেলতে পারবে কি না, আমি জানি না। কারণ, এই কলঙ্কিত ঘটনার জনক বিএনপি।
ঘটনার সঠিক তদন্তে তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন টালবাহানা তুলে ধরে সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্ট তারা ধরেই নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা শেষ হয়েছেন। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। তাই আল্লাহ আজ তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনিমার্ণে অসমাপ্ত কাজ করে নিচ্ছেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে শুধু দলীয় ভিত্তিতে পালন না করে জাতীয় ভিত্তিতে ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী’ সমাবেশ হিসেবে পালনে পদক্ষেপ নিতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান।
যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শেখর, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবর রহমান চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন মহি, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে ফাহিম। যৌথভাবে সভা সঞ্চালনা করেন উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসভিরুল হক অনু।