বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা ও জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিতকরণের লক্ষে জাইকার অর্থায়নে চলমান সিটি গভার্মেন্স প্রকল্প (সিজিপি)এর আওতায় ২১নং ওয়ার্ডের উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় বন্দর থানাধীন নগর মাতৃসদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কের সামনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরশন ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকারের সভাপতিত্বে উন্মুক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন নাসিক’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসানুল ইসলাম,এসিষ্টেন্ট তরূন কুমার বৌদ্ধ, একসেন্ট মোঃ আজগর, নাসিক’র সহকারী সচিব ইসরাত জাকিয়া,সিদ্ধিরগঞ্জ কর কর্মকর্তা মোঃ মান্নান,সিটি গভার্মেন্স স্পেশালিষ্ট মনি মালা রায়,জাইকা’র এডমিনিস্ট্রেশন এসিষ্টেন্ট এলিনা ত্রিপুরা প্রমূখ। এতে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন নাসিক’র ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া ও ১৯,২০,২১নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শিউলী নওশাদ। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ,বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম,শাহী মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম, সালেহনগর পঞ্চায়েত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান,ঋষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুনিল চন্দ্র দাস,বাড়ইপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক নুর আলম,বন্দর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ,রূপালী আবাসিক এলাকার সমাজ সেবক হাবিবুর রহমান,মোহাম্মদ হোসেন,মোঃ বাবু,আলাউদ্দিন,২১ নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেত্রী তথা বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম মাষ্টারের সহধর্মিনী রাশিদা বেগম,মাজেদা বেগম,কাজলী প্রমূখ।
এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা জালালুদ্দিন জালু বলেন,২১নং ওয়ার্ডে পানির সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নগরবাসীর নাভিশ^াস অবস্থা। পানি সংকটের প্রতিকারে কাউন্সিলর কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে? শাহী মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম ও বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসিান আরিফ দাবী করেন ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ পুকুরটি যেন ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে। গোটা এলাকার সমস্ত ময়লা এই পুকুর পাড়ে ফেলা হচ্ছে। অথচ শাহীমসজিদে ৪ থেকে ৫টি স্বনামধন্য শিক্ষালয় রয়েছে। এর মধ্যে বন্দর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা,৯নং কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। এরই পাশের্^ মোগল আমলের ঐতিহ্যবাহী শাহীমসজিদ অবস্থিত। প্রতিদিন এই পথ ধরেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যাপিঠে ও মসজিদের মুসল্লীরা মসজিদে নাকে রোমাল দিয়ে নামায পড়তে যান। ময়লা ফেলার সঠিক স্থান না থাকায় এই এলাকার পরিবেশ ক্রমেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর যথাযথ প্রতিকার কিংবা দ্রুত সংস্কারের দাবী জানাচ্ছি। ঋষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুনিল চন্দ্র দাস বলেন,সংখ্যালঘু বলে আজ আমরা অবহেলিত। ঋষিপাড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিন্দনীয়। আর বাল্য বিবাহ হচ্ছে অহরহ। এর সঠিক প্রতিকার চাই। এছাড়া মহিলাদের পক্ষ থেকে ছালেনগর এলাকার কাজলী বেগম বলেন, কাউন্সিল সাহেব আমাদের এলাকার মাদক নির্মুল করুন, মাদকাসক্তদের ভয়ে আমরা আতংকিত। এছাড়া এলাকায় কুকুরের উপদ্রব উল্লেখযোগ্য।
নাসিক ২১নং ওয়ার্ডবাসীর এসব প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেন,যদিও পানি সিটি কর্পোরশন এর আওতায় নেই তবুও মেয়র আইভির সহায়তায় ওয়াসাকে বলে পানির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্লেন হয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী শাহীমসজিদ পুকুরকে চারিপাশে লেক করে আধুনিকায়ন করা। ২১নং ওয়ার্ডে ৩৫টি ময়লার বক্স দেয়া আছে। তারপরও পুকুরপাড়ে ময়লা ফেলার কোন যৌক্তিকতা নেই। তবে জনগন সচেতন হলে পরিবেশ পরিবর্তন হতে সময় লাগে না। অতিশীঘ্রই রূপালী আবাসিক এলাকাতে পার্ক হবে। তবে একটু সময় দিতে হবে। এতে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করতে পারবে,আবর্জনা ড্রাম বাড়ানো হবে,সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই হিন্দু-মুসলিম সবাই মানুষ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঋষিপাড়ায় ড্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। বাল্য বিবাহ মারাত্বক ব্যাধী। এ থেকে বের হয়ে আসতে হলে জনগনকে সচেতন হতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে টেন্ডার এনে শাখা সড়কের কাজ শুরু হবে। বিশেষ উপায়ে কুকুর নিধন করা হবে। মাদক দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাধি। আপনারা আমাকে মাদক সেবীদের তালিকা দেন আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে কাউন্সিলর আরো বলেন জনগন পাশে থাকলে যে কোন দুরুহ কাজও আমি সহজেই করতে পারব ইনশাআল্লাহ।