বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
“মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বাস্তবায়ন আমাদের অঙ্গিকার” এই শ্লোগান নিয়ে ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
রবিবার বিকেলে চাষাঢ়া নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি সৈয়দ রনি আলম’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নু, সাবেক গ্রন্থ্যকার ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক নিশান কাফি, ফাহিম এমিল, আহমেদ হৃদয়, আরিফ, জুম্মান, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুল আলম রকি, মহানগর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি সৈকত বাপ্পী, জেলার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন কাউছার, মহানগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ঢালী, জেলার সহ সভাপতি ফরিদ হোসেন ফাহিম, মহানগরের সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম, জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন জামান সৌরভ, মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের হোসেন নাঈম, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সুমন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, মুুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সায়েক শহীদ রেজা, পারভেজ আহমেদ রওনক, সোহাগ জয়, ইকরামুল হাছান কেনন, মোঃ লিমন, মোঃ সোহান, সায়েম, বাবু, তুষাড়, আল সাফা সিডনি, শরীফ আহমেদ সানি প্রমূখ।
সাফায়েত আলম সানি তার বক্তব্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি, সেইসব যুুদ্ধাপরাধীদের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে ইতিহাস বিকৃত করার পাশাপাশি বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের দোসররা আবারো আমাদের স্বাধীন দেশের পতাকাকে খামচে ধরার চেষ্টা করছে। এদেরকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা আমাদের সময়ের দাবি। আমাদের সুপার ম্যান মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
১১ দফা দাবিগুলো হলো, ১. মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করতে হবে এবং কমিশন গঠন করে কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করতে হবে।
৩. ১লা ডিসেম্বরকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ও সরকারী ছুটি ঘোষণা করতে হবে। ৪. দুর্নীতিবাজ,মাদক ব্যবসায়ী, শেয়ারবাজার লুটকারী, ঋণখেলাপীরা রাষ্টের শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
৫.যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের উপজেলা ভিত্তিক তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে। ৬. যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধররা যারা সরকারী চাকুরীতে বহাল আছে তাদের বরখাস্ত করতে হবে। ৭. যুদ্ধাপরাধী,স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৮. বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী এবং বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষকদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট অ্যাক্ট বা জেনোসাইড ডিনাইয়াল ল’ এর আদলে আইন করে রাষ্ট্রদোহী হিসেবে বিচার করতে হবে।
৯. কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানিকতা ও গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিদেশী অনুদানে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
১০. তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বাসভবনে হামলাকরীদের চিহ্নিত করে আইনেরও আওতায় এনে দ্রুত বিচার করতে হবে। ১১. বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের এবং এসব গ্রুপ ও পেইজের এডমিন ও মডারেটরদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
১১. বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ ও পেইজ যেমনঃ কোটা সংস্কার চাই, বাঁশের কেল্লা, বিসিএস আওয়ার গোল’স, অপরাজেয় বাংলা, স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তিকারী এবং এসব গ্রুপ ও পেইজের এডমিন ও মডারেটরদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।