বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের আমীর ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল পদত্যাগের ঘোষনা দেওয়ার একদিন পর পদত্যাগের ঘোষনা প্রত্যাহার করেছেন। গত ২৯ মার্চ শহরের ডিআইটি রেলওয়ে মসজিদে মুসল্লিদের সামনে এ ঘোষনা দেন।
এর পর তার পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় আসে। আজ ডিআইটি মসজিদে দুপুর তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত হেফাজতের
কেন্দ্রীয় চারজন নেতা আব্দুল আওয়ালকে ও স্থানীয় হেফাজের নেতাদের নিয়ে দুই ঘন্টা রুদ্ধদারববৈঠক করে পদত্যাগের ঘোষনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক গণমাধ্যমের সামনে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হেফাজতের অতি উৎসাহী কিছু কর্মীর আচরণে ব্যাথিত হয়ে তিনি (মাওলানা আব্দুল আউয়াল) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে আমরা তার সাথে কথা বলেছি, তিনি আমাদের সাথে আলোচনা করে পুনরায় দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। পূর্বের মত আগামীতেও তিনি নারায়ণগঞ্জ হেফাজতের নেতৃত্ব দিবেন।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা দেশজুড়ে হেফাজতের তান্ডব, গণমাধ্যমের উপর হামলার কারন জানতে চাইলে মামুনুল হক বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীরা কোন হামলা চালায়নি। তবে তারা সড়ক অবরোধ করেছে। আমাদের তরফ থেকেও ভাঙচুর এবং বিশৃঙ্খলা না করার নির্দেশনা ছিল। যারা করেছে তারা বহিরাগত এবং হেফাজতকে বিতর্কিত করতে এসব করেছে।
হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব, হেফাজতের ঢাকা মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক ফজলুল করীম কাশেমী, যুগ্ন মহাসচিব মুফতি মনির হুসাইন আল্লামা মনির হোসাইন কাশেমী, মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা জসীম উদ্দিন আল হাবীব, মাওলানা ইসমাইল আব্বাসী, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা মুফতি হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
গত সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে পবিত্র শবে বরাতের বয়ানে মাওলানা আব্দুল আওয়াল হেফাজতের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আমাদের বুঝতেছেনা, আমাদের লোকেরাও বুঝতেছেনা। অতি উৎসাহীওয়ালারাও বুঝেনা। তারা বলছে, হুজুর হরতালের দিন গেলোনা কেন। আমি বলতেছি, আমি আর দল করবোনা, আমি মসজিদে থাকবো। আমি আর সরাসরি নেতৃত্ব দিয়ে কোন কাজে যাবোনা, যাবোনা, যাবোনা। আমি একবারে নিষেধ করেছি। যারা অতি উৎসাহী আছো তোমরা কর, আমার বৃদ্ধ বয়স, অসুস্থ মানুষ, হাঁটতে পারিনা, দাঁড়াতে পারিনা। তাই আমি আর হেফাজতের কোন নেতৃত্ব দিবো, আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিবোনা। কর্মী হিসেবে যতদিন পারি থাকবো। এটা সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছি, সাংবাদিক সম্মেলন করে ইস্তেফা দিয়ে দিবো। হেফাজতের নেতৃত্ব আর দিবোনা।
পরে ৩০ মার্চ বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে
এ পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এ বিষয় নিয়ে আজ মামলানা আব্দুল আওয়ালের উপস্থিতিতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা রুদ্ধদার বৈঠকে তার পদত্যাগ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।#