বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার মুন্দিরপুর এলাকায় এক গার্মেন্টসকর্মীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার ধর্ষিতার বড় বোনের স্বামী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুন্দিরপুর গ্রামের ঈদগাহের পাশে নুরু মিয়ার বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে ধর্ষিতার বড় বোন ও তার স্বামী। গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলার লালানগর গ্রামের বাসীন্দা ও স্থানীয় একটি পোশাক শিল্পকারখানার শ্রমিক তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই রাতেই সবাই ঘুমিয়ে পরলে ওই এলাকার স্থানীয় আলম মিয়া, আজিজুল ইসলাম, সেলিম মিয়া, ডালিম মিয়া, নজরুল ইসলাম ও রাসেল মিয়া সহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বখাটে যুবক ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাদের হাতে থাকা দা, ছেনা, লোহার রড, চাপাতিসহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘরে থাকা সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই গার্মেন্টসকর্মীকে তুলে নিয়ে পাশ^বর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে বখাটেরা পালাক্রমে সারারাত ওই গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় তার বোনের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষিতা ওই গার্মেন্টসকর্মীর অবস্থা আশংকা জনক। এদিকে ধর্ষকরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি থামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং থানায় মামলা না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। এতে ওই গার্মেন্টসকর্মী ও তার স্বজনেরা চরম আতংক ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। বিকেলে ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আজিজুল ইসলাম ও সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই গার্মেন্টসকর্মীর বোন জামাই জানান, আমার শালিকা গত বৃহস্পতিবার আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। ওই রাতেই কয়েকজন বখাটে আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও অপহরণ করে আমার শালিকাকে পাশ^বর্তী জঙ্গলে রাতভর গণধর্ষণ করে। পরে ভোরে অচেতন অবস্থায় তাকে আমাদের বাড়ীর সামনে ফেলে রেখে যায়। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ও আতংকে দিন কাটাচ্ছি। সন্ত্রাসীরা আমার শালিকাকে গণধর্ষণ করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার দাবী করি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষণের বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।