নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সরকারি তোলারাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড.শিরীন বেগম বলেছেন, শ্যামল কান্তি একটি ঘটনার শিকার ও সাংসদ সেলিম ওসমান একটি চক্রান্তের শিকার । আমি এই ঘটনার খবর পত্রিকায় দেখেছি সেদিন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুক তার বোনকে ঔ স্কুলের প্রধান শিক্ষক করার জন্যই এই অবস্থা তৈরী করেছে, সেলিম ওসমানকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে দিয়েছেন। গনবিদ্যা স্কুলে এক ছাত্রীর নকল ধরার অপরাধে শিক্ষকের অত্যাচারে ছাত্রী মারা যান তার কোন প্রতিক্রিয়া নারায়ণগঞ্জের সুশীলরা জানাননি । কারন তা ওসমান পরিবারের সাথে ঘটনাটি সম্পৃক্ত না। আর তা ওসমান পরিবারের হাত ছিল না । যদি ওসমান পরিবারের কেউ থাকতো তা হলে তাকে নিয়ে তোলপার শুরু হয়ে যেত। যেহেতু পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন ওসমান পরিবারের একজন তাই একশ্রেনীর দালাল ও সুশীল নামের কুশীল গন তার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। জনাব সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেন, কোন ক্ষমতার জন্য না । আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীর যেন শাস্তির ব্যবস্থা করেন।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে সাংসদ সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ”সচেতন নারী সমাজ” এর ব্যানারে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতির সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সরকারি তোলারাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড.শিরীন বেগম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, শহর সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক জুয়েল হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহী ইসরাত জাহান মায়া, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেহেনা পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসনে আরা , ফতুল্লা মহিলা লীগের সভাপতি জাহানারা সাত্তার, সিদ্ধিরগঞ্জ মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা বেগম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি রোকসানা খবির প্রমূখ।
ড. শিরীন বেগম আরো বলেন, সেদিন পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেন কল্যান্দী এলাকার সমস্ত জনগণ । ফোন পেয়ে সেলিম ওসমান সরজমিনে গিয়ে উপস্থিত হন পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে। তখন সেলিম উসমান উতক্ত জনগনকে শান্ত হওয়ার আহবান জানান কিন্তু তার কথায় তারা কোনভাবেই শান্ত হননি। এরপর সেলিম ওসমান স্কুলের সভাকক্ষে যান এবং প্রধান শিক্ষককে বলেন, উতক্ত জনগণ আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের কথা বলেছে তা কি সত্য। আপনি আল্লাহ পাক ও রাসুল (সঃ) নিয়ে কটুক্তি করেছেন । উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলেন জী স্যার আপনি আমাকে বাঁচান। সেলিম ওসমান বলেন আমি আপনাকে কি ভাবে বাঁচাবো বাহিরে উপস্থিত জনগন তো আপনার উপর প্রচন্ড উত্তেজিত। তাহলে আপনি কি শাস্তি নিতে চান উত্তরে ঐ শিক্ষক বলেন স্যার আমি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো এবং কান ধরে উঠ বস করবো । তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য শিক্ষককে স্কুলের সভাকক্ষ থেকে বাহিরে নিয়ে আসেন এবং উপস্থিত জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করান ও কান ধরে দাঁড়িয়ে উঠ বস করান ওই শিক্ষককে । প্রাথমিক শাস্তি দিয়ে সেলিম ওসমান জনতার কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন। সেটা যদি হয়ে থাকে সেলিম ওসমান এর অপরাধ তাহলে আমরা মনে করি সেটি তার কোন অপরাধ ছিল না । শিক্ষক নিজেই বাচাঁর জন্য সেলিম ওসমানের পা ধরে ছিল । তখন তো সেখানে পুলিশ প্রশাসন ছিলেন, ইউএনও ছিল ,উপজেলা চেয়ারম্যানও ছিল তারা তো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতেন তা না করে তারা অপেক্ষায় বসে আছে সেলিম ওসমানের জন্য । ঐ স্কুলে ছাত্রকে শিক্ষক প্রহার করলো এবং আল্লাহ পাক ও নবী (সঃ) কে নাপাক বললো তার কোন শাস্তি হল না । কিন্তু শিক্ষককে প্রানে বাঁচাতে তাকে কানে ধরে উঠ বস করাল এ ঘটনা নিয়ে সুশীল নামের কুশীলরা সেলিম ওসমানের পিছনে নানা ভাবে উঠে পড়ে লেগেছে।
এসময় মানববন্ধনে ঘটনার সূত্রপাত পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রিফাতের মা রীনা বেগমকে নাসিক কাউন্সিলর ইসরাত জাহান স্মৃতি উপস্থিত করান। রীনা বেগম ঘটনার বিবরণ মাইকে বলার সময় ইসরাত জাহান স্মৃতি রীনা বেগমের ও তার মেয়ের জামাতা সাদেকের কানে কানে বলে দিতে দেখা যায়। এই ঘটনা দেখে উপস্থিত নেতাকর্মীবৃন্দ ও জনতার মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাদের এসময় বলতে শুনা যায় কাউন্সিলর ইসরাত জাহান স্মৃতির মত অতি উৎসাহী লোকদের কারনে ওসমান বিরোধীরা ওসমান পরিবার নিয়ে চক্রান্ত করার সুযোগ পায়। রিফাতের মা তো নিজেই ওই দিনের প্রকৃত ঘটনার বিবরন তুলে ধরবেন স্মৃতির কানে মুখে কথার বলার কি ধরকার আছে। আসলে ইসরাত জাহান স্মৃৃতি ওসমান পরিবারকে দেখানোর রাজনীতি করে। প্রকৃতপক্ষে এদের কারনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।