বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সাংবাদিক আলামিন প্রধানসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকরা।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের উদ্যেগে রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও পাগলা সড়ক অবরোধ করে এক ঘন্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ সামাদ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, মনির হোসেন, পম আজিজ, মাসুদ আলী, সোহেল আহমেদ, সেলিম মুন্সী, আব্দুল আলীম লিটন, নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, জাহাঙ্গীর ডালিম, শাকিল আহমেদ ডিয়েল, মহসীন আলম, দুলাল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ সেলিম, মুন্না প্রমুখ।
সৈয়দ ওবায়েদউল্লাহ বলেন, আলীগঞ্জের শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। সে প্রকাশ্যে তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন সেক্টর থেকে চাঁদাবাজী করে। পলাশের বিরুদ্ধে ৩ এপ্রিল যুগান্তরে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে তা শতভাগ সত্য। সত্যকে আড়াল করতে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের হয়রানী করতে মানহানী মামলা করেছে। যেই পলাশের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২১টি মামলা তার আবার মান কি। পলাশ তার লোকজন দিয়ে ফতুল্লার প্রতিটি সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজী করায় প্রকাশ্যে। তার ওই চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ইত্তেফাকের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় সময় নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক জাবেদ আহমেদ জুয়েলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে। আমরা এ মামলা প্রত্যহারের দাবী জানাই। অন্যথায় সাংবাদিকরা এলাকাবাসীদের নিয়ে ফতুল্লার প্রতিটি সড়কে পলাশের লোকজনদের চাঁদাবাজী বন্ধ করা হবে।
সভাপতি সামাদ মতিন বলেন, যুগান্তরে পলাশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পরের দিন ৪ এপ্রিল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পলাশ অনুসারিরা আলামিন প্রধানের বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের আলীগঞ্জ হতে মাসদাইর পুলিশ লাইনস পর্যন্ত যান চলাচলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে শ্লোগান দিয়ে আলামিনকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। কুরুচিপূর্ন শ্লোগান দিয়ে চামড়া তুলে নেয়া ও দুই গালে জুতা মারো তালে তালে বলে কয়েকশত লোক হুমকি দেয়। সেই মিছিলের সামনের লোকজনদের মধ্যে মোল্লা মামুন নামে এক জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীয়ও ছিল। সে ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকার শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশের অনুসারী। মোল্লা মামুনের বিরুদ্ধে ফতুল্লায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। একজন পলাশ আর কি করলে গডফাদার হবেনা।