বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন,মাদক কখনো আইন দিয়ে দমন করা যায়না। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এর ভয়াবহতা রুখতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সদ্য যোগদানকারী জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের বন্দর উপজেলায় আগমন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথিথ’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেলিম ওসমান আরো বলেন,সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বলতে চাই মাদক নিয়ে ধরা পড়লে কেউ থানার দরজা পর্যন্ত যাবেননা। তাহলে দেখবেন এমনিতেই মাদকের প্রভাব হ্রাস পাবে। মাদক ব্যাধি দূর করতে হলে বেশি বেশি সাস্কৃতিক চর্চা,খেলাধূলা আর বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। সেই সাথে এলাকার রাস্তাঘাটে মাদক সেবন বন্ধ করতে লাঠি হাতে এলাকার মুরুব্বিদের রাস্তায় নামতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি মসজিদের ইমামদের জুম্মার খুতবা বা নামাজের বয়ানে মাদকের কুফল সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে বন্দর থেকে মাদক নির্মূল করা খুব সহজেই সম্ভব হবে। বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ রাব্বী মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক। বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ ক ম নূরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমান মুকুল,বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশণার(ভূমি), বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ,বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ¦ মোঃ আবুল জাহের। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিথ ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না,১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ মোহাম্মদ হোসেন নূর, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ হান্নান সরকার,২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া,২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু,সংরক্ষি ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রেজওয়ান হক সুমি,শাহী ইফাত জাহান মায়া,গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী,মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাকসুদ হোসেন,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাসুম আহমেদ,ব্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এহসানউদ্দিন আহম্মেদ,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গাজী মোঃ আবদুস সালাম,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মোল্লা,প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ আমজাদ হোসেন,হাজী আলমগীর হোসেন(এমএসসি)২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শহীদ আহাম্মদ,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,ব্যবসায়ী আলহাজ¦ চান মিয়া,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়া,হাজী ইব্রাহিম আলমচান মডেল স্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডি’র সভাপতি মঞ্জুর হাসান মেম্বার,শফি মেম্বার,এম এ সালাম,জাতীয় পার্টির নেতা শরীফ শাহ,আওলাদ হোসেন সেলিম,মনির হেসেন,কাজী শাহিন,ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত কবির ফাহিম প্রমুখ।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান রেখে সেলিম ওসমান আরো বলেন, মাদকসেবীদের আগে মাদক বিক্রেতাদের শায়েস্তা করতে হবে। দেখা যায় এলাকার কিছু হুমরা চুমরা নেতারা মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে থাকে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন থানায় কর্মরত ওসিরা মাদকের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমি বন্দরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ সকল জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান রাখবো মাদক সংক্রান্ত কোন অপরাধীকে ছাড়িয়ে আনতে আপনারা কোন প্রকার তদবির করবেন না।
সেলিম ওসমান তার স্বপ্নের কথা এবং তা আগামী দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দিয়ে মদনগঞ্জ এবং নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে পূর্ণাঙ্গ দুইটি সেতু, শান্তিরচরে নীটপল্লীর বাস্তবায়ন, প্রতিটি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নত সুশিক্ষা এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন। আমি হয়তো আর মাত্র দুই থেকে আড়াইবছর সময় পাবো। গত দুই বছর আপনারা দলমত নির্বিশেষে যেভাবে বন্দরের উন্নয়নে একত্রিত হয়ে কাজ করেছেন ঠিক সেই ভাবে আগামী দুই বছর আপনারা একত্রিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। আপনাদেরকে অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোন রাজনীতি নয়।
নিজেকে কৃষক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব করার কথা বলে তিনি বলেন, আমি আমার কারখানা থেকে ৩০ থেকে ৩৫ ডলারের পন্য রপ্তানি করে থাকি। এরপর আমি নিজেকে একজন কৃষক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। প্রতিদিন সকালে আমি ৭০ হাজার টাকার দুধ বিক্রি করতে না পারলে আমার দিন ভাল যায় না। তাই আমি চাই বন্দরের প্রতিটি পুরুষ নিজেকে একজন কৃষক হিসেবে গড়ে তুলুক। সেটা গরু,ছাগল,হাঁস মুরগি পালন করে হোক,জমি চাষ করে হোক আর অন্যের জমি বরগা চাষ করেই হোক। আমি আমার কৃষি কাজ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে বন্দরের মানুষের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকি এবং আমি আমার এই উপার্জনের অর্থ বন্দরের প্রতিটি অলিগলিতে ছড়িয়ে দিবো।