বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমরী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ফ্যাসিবাদের জন্ম দিবে। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতা অর্থবহ করতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, এনজিওর মত দেশ চালালে হবে না, সরকার প্রধানকে অবশ্যই শাসকের ভূমিকায় কথা বলতে হবে। নরম নরম কথা বলে অপরাধীদেরকে সোজা করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা সেক্টরে অবস্থান করছে। তাদের বিরুদ্ধে বজ্র ও কঠিন ভূমিকা রাখতে হবে। এনজিও স্টাইলে কথা বললে খারাপ মানুষ ভালো হবে না। ইনসাফভিত্তিক স্থানভেদে নরম ও গরম ভূমিকা পালন করুন। আপনার দিকে গোটা দেশের জনগণ তাকিয়ে আছে।
আমরা সবুজ বাংলা, সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলা দেখেছি, এবার ইসলামের বাংলা দেখেতে চাই। যেখানে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বিচারলায়ে স্বাধীনতা থাকবে। আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কোন স্বজনপ্রীতি বা দলীয় প্রভাব থাকবে না, নারী তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে, শ্রমিক তার সঠিক পাওনা বুঝে পাবে, কেউ অত্যাচারিত হবে না, মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।
ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে একজন মাদকসেবী সে নিজের গরজেই ভালো হয়ে যাবে। তখন সেই পরিবেশের প্রভাবেই সে নিজে নিজে মাদক ছেড়ে দিবে।
আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৩টায় শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা ও নগর সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম সাহেবের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলাওয়ার হোাসাইন সাকী, বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সহ-সভাপতি যথাক্রমে হাফেজ মুহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও মুফতি হাবিবুল্লাহ হাবিব, জেলা ও নগর সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে হাজী আমান উল্লাহ ও ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ফারুক আহমেদ মুন্সী ও মাও. শামসুল আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি মুহা. যোবায়ের হোসেন ও নগর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি যথাক্রমে মুহাম্মদ আলী ও এইচ এম শাহীন আদনান, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাকসুদুর রহমান ও মুহা. আমির হোসেন, ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতি আ. হাকিম আদ দিফায়ী নগর।
মুফতি ফয়জুল করীম আরো বলেন, বাংলার মানুষ কারো কাছে মাথা নত করতে জানে না। সীমান্তে দেখেছেন, তারা কাচি নিয়ে বিএসএফের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। বাংলাদেশের উপর কেউ আঙ্গুল তুললে সেটা ভেঙ্গে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ বক্তা মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার পতন হওয়ার পর আবার কিছু চাঁদাবাজের আবির্ভাব ঘটেছে। সংস্কার না হতেই নির্বাচনের জন্য পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছে। আমরা আওয়ামী দু:শাসনের মত এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি চাই না।