বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের অনুসারী পরিচয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত, ছিনতাই কারী ও চোরদের সেল্টার দাতা কে এই ওমর ফারুক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় এলাকায় বিচার ও স্কুল শিক্ষককে মারধার ও জামায়াত শিবিরকে শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এর আগে এ সব অভিযোগের সূত্র ধরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) তাকে গ্রেফতারও করেছিল। তার পরেও থেমে নেই তার অপরাধ কর্মকান্ড। একের পর এক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তার পরেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা। তাই এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব ১১ হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডে শিল্পপতি হাজি ইউনুছ মিয়ার ছেলে ওমর ফারুকের শেল্টারের সিদ্ধিরগঞ্জের চিহ্নিত ইয়াবার ডিলার ও আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্য আহাদ, বিয়ার ও ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী হৃদয় ও ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুলসহ অপরাধ জগতে আরো ১০/১৫ জন সদস্যদের শেল্টার দেয় বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তাছাড়া ২০১৩ সালে জামায়াত Ñশিবিরকে সেল্টার ও হেফাজতকর্মীদের আন্দোলনের অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে তার হিরাঝিল অফিস থেকে গ্রেফতার করে। পরে রাতভর ডিবি কার্যালয়ে থাকার সময় মোটা অংঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল বার্মাষ্ট্যান্ড এলাকার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু জেলা ডিবির তাকে আদালতে পাঠালে আদালত থেকে জামিন নিয়ে সাত খুনের প্রধান আসামী নুর হোসেনর সাথে আতাত করে এলাকায় অপরাধ জগত তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। নুর হোসেন সাত খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পরলে তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে নেন অপরাধ জগতে। নিয়ন্ত্রন করছেন পুরো এলাকা। এক পর্যায়ে একচ্ছত্র আধিপত্য বহাল রাখতে হাত মিলান সাত খুনে নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শশুর শহীদ চেয়ারম্যানের সাথে। এরপর থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত পাইনাধি, সিআই খোলা, ডার্চবাংলা ব্যাংক, হিরাঝিল এলাকায় নেপথ্যে থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তার হাতে ।
এ ব্যাপারে পাইনাদি এলাকার এক বাসিন্দা নাম না করার শর্তে জানান, কিছু দিন আগে হাজী সামসুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধর করে ওমর ফারুক। তাছাড়া হিরাঝিল এলাকায় সাইফুল ইয়াবা ব্যবসা করে। সাইফুল তার লোক।
সিআই খোলা এলাকার এক বাসিন্দাও জানান, ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার আহাদের নিয়ন্ত্রণে ১নং ওয়ার্ড। এই আহাদ ওমর ফারুকের লোক। আহাদের ভয়ে এলাকায় কেউ কিছু বলতে পারেনা। কিছু দিন পূর্বে আহাদ বাহিনীর সদস্যরা আহাদের নেতৃত্বে হিজড়া নুপুরের নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার ছিনতাই করে। পরে ফারুকে নির্দেশে তার মিমাংশা হয়। এক সিএন্ডজি চুরির ঘটনায় বিচার করে ১লাখ ৫০ হাজার টাকায় মিমাংসা করে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওময় ফারুক। এতো ঘটনার পরেও শামীম ওসমানের অনুসারী পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করা ও তার ছবি সংযুক্ত করে ফারুক ব্যানার ফেষ্টুন সাটোনোতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা।
তাই এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব ১১’র হস্তক্ষেপ কামনা করছে।