বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গর্ন্ধবপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফ, কর্ণগোপ এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আফজাল ও রূপসী প্রধান বাড়ি এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু সুফিয়ান সোহান। আবু সুফিয়ান সোহান তারাবো পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
এদিকে, রোববার দুপুরে গর্ন্ধবপুর এলাকার রূপসী-কাঞ্চন সড়কে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ও গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ির টায়ার জ¦ালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
এ ঘটনায়
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তার মেয়ে গন্ধর্বপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। গত কয়েকদিন আগে গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিব তার মেয়ের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গন্ধর্বপুর স্ট্যান্ডে তার মেয়ের ধারের টাকা ফেরত আনতে যায়। পরে টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৌসিফ, আফজাল, তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহান ও তানভীরসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন তার মেয়েকে জোর পূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রূপসী এলাকার একটি বাড়িতে ও কর্নগোপ এলাকার একটি বাড়িতে তারা দুই দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর শুক্রবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে ধর্ষনকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে মৌচাক থেকে উদ্ধার করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ির টায়ার জ¦ালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে এলাকাবাসী ও গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর হোসেন আহমেদ রাজীব, গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সাহা,তারাবো পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রাসেল, পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের ফারুক প্রধান, তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাদল, শিক্ষক শিহাবুর রহমান, আব্দুস সোবহান, মাহমুদ সোমা প্রমূখ। এসময় বিক্ষোভকারীরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হউক না কেন তারা কেউ পার পাবেনা। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন রফিকুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।