রূপগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নেশা করার জন্য টাকা না দেয়ায় মাদকাসক্ত স্বামী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২৩ মে) রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার কাহিনা এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী মতিউর রহমান মতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে গৃহবধু খাদিজা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধু খাদিজা আক্তার কাহিনা এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের দাবি, মাদক কেনার টাকা না দেয়ায় খাদিজা আক্তারকে তার নেশাখোর স্বামী পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। নিহত খাদিজা আক্তার কাহিনা এলাকার লিটল ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন।
রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আক্কাস আলী জানান, কাহিনা এলাকায় বসতঘরে খাদিজা আক্তারের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ১’শ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খাদিজা আক্তারের মাথায় আঘাতের জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার সময় মাথায় আঘাতে খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।
এদিকে, গৃহবধু খাদিজার বাবা নুরুল ইসলাম জানান, গত ৩ বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর থানার হরিন্দরা এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান মতির সঙ্গে খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারা কাহিনা এলাকার মনিরুল ইসলাম জহিরের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। বিয়ের পর থেকেই জামাতা মতিউর রহমান মতি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া কোন কাজ কর্ম করতো না। মেয়ে স্কুলে শিক্ষকতা করে সংসার চালাতো। প্রায় সময়ই মতিউর রহমান মতি মাদক কেনার টাকার জন্য খাদিজা আক্তারকে চাপ প্রয়োগ করতো। মাদক কেনার টাকা দিতে অস্বীকার করলেই মারধরসহ বিভিন্ন ভাবে শারিরিক নির্যাতন চালাতো। সোমবার রাতে মাদকাসক্ত মতিউর রহমান মতির সঙ্গে খাদিজা আক্তারের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে মাদকাসক্ত মতিউর রহমান মতি খাদিজা আক্তারকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন।