বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শহরের আল্লামা ইকবাল রোড এলাকায় একটি চুরির ঘটনায় সোমবার বিকেলে বাদীর বাড়িতে তদন্তে আসে সদর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম। এসময় অভিযোগের বাদী মুক্তিযোদ্ধা লুুৎফর রহমান ও তার ছেলে সাংবাদিক লিংকনের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ।
জানা গেছে,গত ৬ই অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের বাসা থেকে ১৫ হাজার টাকা ও অন্য আরেকটি কক্ষ থেকে একটি স্যামসাং মোবাইল চুরি হয়ে যায়। ঘটনার সময় একমাত্র গৃহকর্মী বুলবুলি ছাড়া আর কারো প্রবেশ বা বাহিরে যাওয়া হয়নি। এতে গৃহকর্মীর চলাফিরায় সন্দেহ হয় বাসার মালিকের। মানবিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী,গৃহকর্মীকে সুযোগ করে দেয় দেয় লুৎফর রহমান। কিন্তু এতে নানা টাল বাহানা করে ও মায়া কান্নায় সকলকে মোহিত করার চেষ্টা করে বুলবুলি। পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান চুরির একটি অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায়। অভিযোগের তদন্তভার দেয়া হয় এসআই সাইফুল ইসলামকে।
ঘটনার সূত্রে এস আই সাইফুল ইসলামকে মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান বিগত কয়েকদিন যাবতই তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেন। ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে কাল ক্ষেপন করে সাইফুল। সর্বশেষ অভিযোগকারীর অনেক মিনতির পওে গতকাল ঘটনা তদন্তে আসে বহু কাঙ্খিত সদও থানার এসআই সাইফুল। তদন্তে এসে এসআই সন্দেহীত চোরের পক্ষে নিয়ে সাফাই গাইতে থাকে। এবং সালিশী পযায়ে কার্যক্রম চালাতে থাকেন। এসময় অভিযোগের বাদী মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান এসআই সাইফুলকে পুর্বের বিষয়টি অবগত করে বলেন, আমরা কয়েকবার সামাজিকভাবে চেষ্টা করেছি বিষয়টি মিমাংসা করার। গৃহকর্মীকে আপনি একটু জিজ্ঞাসা করুন আর আমার বাসায় এসে রুমগুলি দেখুন। আর আইনানুগভাবে কিভাবে সহায়তা পেতে কি করনীয় আমাকে জানান। অভিযোগের বাদী মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের কথায় আচমকা তেলে বেগুণে জ্বলে উঠে সাইফুল। এসময় তার সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে।
এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের ছেলে সাংবাদিক লিংকন এসআই সাইফুলকে শান্ত হতে বলেন। এতে সে আরো ক্ষেপে উঠে। অনেকভাবে সাইফুলকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করলেও বাড়ির বাইরেরর সড়কে এসে এসআই সাইফুল মুক্তিযোদ্ধাকে চিৎকার কওে গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনার সময় সাইফুলের এমন আচরণে সাংবাদিক লিংকন সদর মডেল থানার ওসি শাহিন শাহ পারভেজকে ঘটনাটি অবহিত করে। এসময় সদর মডেল থানা ওসি শাহিন শাহ পারভেজ লিংকনকে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। ওসিকে ফোন দিতে দেখে এসাই সাইফুল মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলের সাথে আরো মারমূখী আচরণ। এসময় এসআই সাইফুল উত্তেজিত হয়ে আরো বলে ‘ কারে ফোন দেস,চিনস আমারে ? তোরে দেইখা নিবো। যেখানে পারস যাআমি…ছিঁড়ার জন্য আসছি। তোরে ডাকছি? দেহি পারলে আমার একটা … টাইনা ছিড়তে পারসনি। আমি দারোগা সাইফুল,আমারে চিনোস..গফুর গাওঁ আমার বাড়ি। দেখিস আমার ক্ষমতা। আমি শামীম ওসমানকে বলব।’
এরপর সে সন্দেহীত চোর ও স্থানীয় কিছু লোকদের ম্যানেজ করে এবং উল্টো মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিককে হয়রানী করার জন্য পরার্মশ দেয় স্থানীয়দের।