বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সেক্রেটারী হওয়ায় গা জ্বলছে সিদ্ধিরগঞ্জের গিয়াসপন্থী নেতাকর্মীদের। তাই অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বিতর্কিত করতে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন ও তার অনুসারীরা নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লাকে পুঁজি হিসেবে ব্যাবহার করছে। জেলা কমিটিতে জায়গা না পেয়ে গিয়াস উদ্দিন অনুসারী জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা মামুন মাহমুদকে ফুলের তোরা দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মোল্লাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে গুলি করার অভিযোগ তুলে অপতৎপরতা চালিয়ে মামুন মাহমুদকে দলীয়ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ জানায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নারাণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য গিয়াস উদ্দিন বিরোধী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আধ্যাপক মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় গিয়াস উদ্দিন ও তার অনুসারীদের গা জ্বলছে। জেলা কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর থেকেই জনবিচ্ছিন্ন গিয়াস অনুসারীরা মামুন মাহমুদকে দলীয় ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠে। কোন সুযোগ না পেয়ে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লাকে টার্গেট করে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে গিয়াস পন্থিরা। সূত্র জানায়,অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লাসহ অনেক নেতাকর্মী মামুন মাহমুদকে ফুলের তোরা দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। মামুন মাহমুদকে বিতর্কিত করতে মহিউদ্দিন মোল্লাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বেগম খালেদা জিয়াকে গুলি করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রাচার চালায় গিয়াস পন্থিরা। মহিউদ্দিন ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিল বলে কম্পিউটার কারসাজিতে ভূয়া একটি ছবি বানিয়ে গণমাধ্যমেও প্রেরণ করে। বিএনপির লংমার্চের দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বক শিকার করার শটগান হাতে মহিউদ্দিন মোল্লার ছবিকে শাটারগান উল্লেখ করে ফাঁসানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলেও প্রতিপক্ষরা এখনো চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে বলে মহিউদ্দিন মোল্লার অভিযোগ। অত্যান্ত আক্ষেপের সাথে মহিউদ্দিন মোল্লা জানায়, আমি যদি শীর্ষ সন্ত্রাসী হতাম তাহলে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,মসজিদ,মাদ্রাসা ও স্কুল কলেজ পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হতে পারতাম না। তিনি জানান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ডেমরা থানা শাখার সভাপতি,সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও রওশন আরা কলেজের দাতা সদস্য,সানারপাড় জামেয়া ইসলামীয়া দারুলউলুম মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক,দক্ষিণ সানারপাড় বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক,সানারপাড় বাস ষ্ট্যান্ড জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেব দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি যদি দলীয় প্রদান বেগম খালেদা জিয়াকে গুলি করে থাকি তাহলে আমাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ও নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হতে পারতামনা। মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপির লংমার্চের দিন আমি মিজমিজি এলাকা থেকে শটগান দিয়ে বক শিকার করে বাসায় ফিরছিলাম। তখন লংমার্চের গাড়ি বহর শিমরাইল মোরে বাঁধার মুখে পরে। এসময় আমি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন কে বা কারা শটগান হাতে আমার ছবি তুলে। পরে ওই শটগান হাতে থাকা ছবিকে শাটারগান উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে থেকেই আমাকে অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী বানানোর নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে প্রতিপক্ষরা। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গিয়াস উদ্দিন ও তার অনুসারীদেরকে ষড়যন্ত্রকারী মনে করছেন মহিউদ্দিন মোল্লা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির একাধিক নেতা জানায়,অধ্যাপক মামুন মাহমুদের পাশে থাকার কারণেই গিয়াস পন্থিরা মহিউদ্দিন মোল্লাকে বলির পাঠা বানিয়ে মামুন মাহমুদকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তবে তারা সফল হতে পারবেনা বলে মন্তব্য করেন নেতারা।