বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না।’
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেত্রী ঈদুল আজহায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে প্রতি বছর ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করাই কোরবানির প্রধান শিক্ষা। কোরবানির প্রকৃত রূপ হলো মনের গভীরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া নিয়ে প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা।’
তিনি বলেন, ‘উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বা দুম্বাসহ গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তুু কোরবানির মধ্যে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ সম্ভব।’
দেশে এখন ভয়ংকর নৈরাজ্য চলছে মন্তব্য করে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘মানুষের জান, সহায়-সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকায় কোথাও কারও কোনো জবাদিহিতা নেই। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্দ্ধগতি দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পানি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের তীব্র সংকট জনজীবনে দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশের সকল বিত্তবান ও সামর্থবানদের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের দিকে সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে এক কাতারে মিলে ঈদের আনন্দকে ভাগ করে নিতে হবে।’
ঈদুল আজহা সবার জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক, সেই দোয়া করেন প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে অপর এক বাণীতে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বচ্চো ত্যাগ স্বীকারে ব্রতী হওয়াই কোরবানির মর্মবাণী। কোরবানির সেই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে মানব কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা আমাদের কর্তব্য।’
