বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকে(মরণোত্তর) ভূষিত প্রয়াত জননেতা একেএম শামসুজ্জোহার সহধর্মিনী ভাষা সৈনিক ও রত্ন গর্ভা মা বেগম নাগিনা জোহার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী ৭ মার্চ রবিবার ।
পরিবারের পক্ষ থেকে বন্দরের নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাদ আসর মিলাদ,দোয়া মাহফিল ও বাদ এশা ঢাকার হাইকোর্ট মাজারে ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কোরআন শরিফ খতম,মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রত্নগর্ভা মা বেগম নাগিনা জোহা। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। মরহুম নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এম.এল.এ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন।
১৯৫১ সালে এ কে এম সামসুজ্জোহার সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন।মরহুম এ.কে.এম শামসুজ্জোহার সহধর্মিনী মরহুমা নাগিনা জোহা ছিলেন ভাষা সৈনিক। তিনি রত্নগর্ভা মা পুরস্কারে ভূষিত হয়ে ছিলেন। তাঁর ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে ৪ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, মেঝ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান একই আসনে দ্বিতীয় মেয়াদে জাতীয় সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন এবং ছোট ছেলে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে তৃতীয় মেয়াদে জাতীয় সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
উল্লেখ্য,গত ২০১৬ সালের ১ মার্চ বাধ্যর্কজনিত কারনে অসুস্থ্য হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা। ৬ মার্চ থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৭মার্চ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।