বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪২ তম জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদয্যাপন পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায়, দেওভোগ শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদয্যাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর সাহার সভাপতিত্বে ও মহানগর পূজা উদয্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন এর সঞ্চলনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ নাথ বিশ্বাস ও বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ড. আশুতোষ দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) মো. ফারুক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ ও মিশন আশ্রম এর অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী একনাথা নন্দজি মহারাজ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহমুদা মালা, ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি গোপিনাথ সাহা , এফবিসিসিআই এর পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা, মহানগর পূজা উদয্যাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা বাসুদেব চক্রবর্তী, মহানগর এর সভাপতি দীপক কুমার সাহা, সহ সভাপতি কমলেশ সাহা, যুগ্ম সম্পাদক উওম সাহা, সাংগঠনিক চন্দন পাল, কোষাধ্যক্ষ সুশীল দাস, হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধু নাগ মহাশয়ের আশ্রমের সভাপতি শ্রী সরোজ কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, শ্রী কৃষ্ণের দর্শন, প্রেমের বাণী তথা কর্মকান্ড মানব সমাজকে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাইতো শুধু দুষ্টের দমনই নয় এক শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন তথা জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবল্বীদের মাঝে নিয়ে আসে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এক শুভ আনন্দময় বার্তা।
তারা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদগীতার উদগাতা ভাগবান শ্রীকৃষ্ণ অরাজকতায় আচ্ছন্ন পৃথিবীতে অবতরণ করে কংস, জরাসন্ধ ও শিশুপালসহ বিভিন্ন অত্যাচারিত রাজাদের বধ করেন। ধ্বংস করেন সকল অশুভ শক্তিকে। প্রতিষ্ঠা করেন ধর্মরাজ্যের। আর এভাবেই শ্রীকৃষ্ণ অরাজকতার হাত থেকে কলুষমুক্ত করেন পৃথিবীকে। অরাজকতার স্থলে মানব প্রেমের অমিত বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেন।
