বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ঋণনির্ভর, ধনীতোষণ, বৈষম্যমূলক, কল্পনাবিলাসী বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৪ টায় করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক দূরত্ব রক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাসদ জেলার নির্বাহী ফোরামের সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, অঞ্জন দাস, বিমল কান্তি দাস, রাশিদা আক্তার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ঘোষিত বাজেটে জনগণের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটেনি। ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ জিডিপির ৬ শতাংশ ঘাটতি নিয়ে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা হয়েছে। জনগণের উপর ভ্যাটের আওতা বাড়িয়েছে। অথচ পুঁজিপতিদের কর্পোরেট টেক্স আড়াই শতাংশ কমিয়েছে। এটি করোনাকালে বিধ্বস্ত জনগণের উপর নতুন ভোগান্তি। ৮.২% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব কল্পনাপ্রসূত। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেয়ার কথা থাকলেও ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল ঘোষণা ছাড়া স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ৫.১৪%। গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হলেও বিশ^ব্যাংক, আইএমএফ দিচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। যেখানে মালদ্বীপের মতো একটি ছোট দেশে নাগরিকদের স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় ২ হাজার ডলার, সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ৮৮ ডলার। বাজেট শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের খরচও শিক্ষা খাতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। কৃষিখাতে বরাদ্দের টাকার অংক বাড়লেও গতবারের তুলনায় কমেছে। গতবারের বরাদ্দ ছিল ৫.৬% আর এবার বরাদ্দ ৫.২৭%। প্রচুর প্রবাসী শ্রমিক দেশে আসছে। তাদের নিয়ে বাজেটে কোন দিক নির্দেশনা নেই। একদিকে সরকার বলছে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স আরেকদিকে কালো টাকা সাদা করার বৈধতা দিয়েছে। মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৫ টাকার সেবা পাবে গ্রাহকরা। অনুৎপাদনশীল খাতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, কর্মসংস্থান ও জনগণের সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব কম দেয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ ভোটবিহীন সরকারের গণবিরোধী বাজেট প্রত্যাখ্যানের জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।