বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সংগঠক সহ দুজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। আটককৃতরা হলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল ইকবাল হোসেন।
হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান, সম্প্রতি স্থানীয় দালাল চক্রকে সাথে নিয়ে সংগঠক জিদান হোসেন হাসপাতালে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে আসছিলো। সেসব অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: আকমল হোসেন ভূইয়া সজলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নিজেকে সংগঠক পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সেই চিকিৎসককে বদলি করান সংগঠক জিদান হোসেন। এরপর থেকেই জিদানের কাজে কেউ বাধা দিলে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের বদলির ভয় দেখাতো সে। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে হাসপাতালে অপরাধের রাজত্ম কায়েম করেছিলো জিদান ও তার সহযোগীরা।পাশাপাশি সে হাসপাতালের অভ্যন্তরে ইয়াবা বিক্রি করতো। সেনাবাহিনীর কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে রোববার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। অভিযানে হাসপাতালের ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৪ পিস ইয়াবা।
৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. এমএ বাশার বলেন, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বলে জানতে পেরেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, জিদান বাড়িঘরে রং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করতো। আন্দোলন চলাকালে সে পিঠে ছররা গুলিতে আহত হয়েছিলো। এরপর থেকেই সে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে দালালি ও স্টাফদের হুমকি ধামকি দিয়ে সুবিধা আদায় করতো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী জিদান ও ইকবালকে আটক করেছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এই বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহবায়ক নিরব রায়হান বলেন, ‘জিদান জেলা কমিটির সংগঠক ছিলো। তাকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরে আমরা প্রশাসনকে বলেছি তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে। সেই সাথে আমরাও তাকে দল থেকে বহিস্কার করেছি।’