বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ঈদের সাত দিন আগে শ্রমিকের বেতন ও বেসিকের সমান বোনাস পরিশোধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মাসদাইরে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের মানববন্ধন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার উদ্যোগে ঈদের কমপক্ষে ৭ দিন আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতনসহ সমস্ত বকেয়া ও বেসিকের সমান বোনাস পরিশোধ এবং শ্রমিক ছাঁটাই নির্যাতন মিথ্যা মামলা বন্ধের দাবিতে আজ বিকাল ৪ টা থেকে ৫ টা মাসদাইর চৌধুরী কমপ্লেক্স-এর সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাাদক হাসনাত কবীর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাাদক রুহুল আমিন সোহাগ, গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, উৎসব বোনাস কোন দয়া নয়, এটা শ্রমিকের অধিকার। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার এপ্রিল-মে-জুন মাসে শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা হিসাবে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে গার্মেন্টস মালিকদেও ৭ হাজার ৫ শত কোটি টাকা দিয়েছে। মালিকরা জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বেতন-ভাতা বাবদ আরও ৭ হাজার ৫ শত কোটি টাকা চেয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র ইতিমধ্যে সেই টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে বলে পত্র-পত্রিকায় বেড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গার্মেন্টস মালিকদের সর্বসাকুল্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে যাচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ইতিমধ্যে গার্মেন্টসে ৮০ ভাগ কাজের ওর্ডার চলে এসেছে। এরপরও মালিকদের অব্যাহত শ্রমিক ছাঁটাই ও বেতন-বোনাস নিয়ে টালবাহান গ্রহণযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছর ঈদের প্রাক্কালে শ্রম মন্ত্রনালয় সকল পোশাক শিল্প শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দেয়, এবারও দিয়েছে। কিন্তু মালিকরা সরকারের কথায় কর্ণপাত করে না। ঈদের ছুটির পুর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত বোনাস-বেতন পরিশোধ না করে শ্রমিকদের একরকম জিম্মি করে রাখে। ঈদের আগ মুহুর্তে শ্রমিকরা যখন স্বজনদের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য গ্রামের বাড়িতে যেতে উদগ্রীব হয় তখন অধিকাংশ মালিকরা শ্রমিকদের বোনাস না দিয়ে বকশিস হিসাবে কিছু টাকা দিয়ে, আংশিক বেতন দিয়ে শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে। শ্রমিকদের তখন প্রতিবাদ করার কোন সুযোগ থাকে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, বরখাস্ত, ছাঁটাইয়ের শাস্তি নেমে আসে। প্রশাসনও প্রতারক মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে মালিকের পক্ষে নির্বিকার থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে নানা ছলে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার ও ছাঁটাই নির্যাতন করার আশঙ্কা আমরা করছি।
নেতৃবৃন্দ ঈদের ৭ দিন আগে শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়ে বলেন বেতন বোনাস নিয়ে মালিকরা টালবাহানা করলে উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় মালিক ও প্রশাসনকে বহন করতে হবে।