বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ৫নং ঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীতে কালী প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে চার দিনব্যাপী শ্রী শ্রী শ্যামা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বিভিন্ন মন্দিরের কালীপ্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবারের মতো এবারো শীতলক্ষ্যা নদীর ৫নং ঘাট এলাকায় সু-শৃঙ্খল পরিবেশে শ্যামা মায়ের বিসর্জনের আয়োজন করা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিমা নিয়ে এসে এখানে বিসর্জন দেয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয় যথেষ্ট পরিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের কালী পূজার বিসর্জন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপণ পরিষদের সভাপতি দিপক কুমার সাহার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনের সার্বিক পরিচালনায় বিসর্জণ মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক’সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নাসিক ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ( ১৩,১৪,১৫) নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শারমিন হাবীব বিন্নি, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ, জাতীয় পরিষদের কেন্দ্রীয় পূজা কমিটি সদস্য বাসুদেব চক্রবর্তী, হিন্দু জেলা সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি কমলেশ সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কমান্ডার গোপিনাথ দাস, মহানগরের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সাংবাদিক উত্তম সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন পাল, সহ সাংগঠনিক বাসুদেব দে, কোষাধ্যক্ষ সুশীল দাস, প্রচার সম্পাদক তপন ঘোপ সাধু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তপন ঘোষ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক পরশ চৌধুরী, প্রমুখ ।
প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে কালীপূজা বা শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত জাঁক-জমকের সঙ্গে মা কালীর পূজা করেন। সে রাতে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের লক্ষ্যে কালী মায়ের আরাধনা করেন ভক্তরা। সুখ, শান্তি, জ্ঞান ও সম্পদের জন্য এ উৎসবের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। মধ্যরাতে পূজার হোম, যজ্ঞ ও অঞ্জলি দেওয়া শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
হিন্দু সম্প্রদায় তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালীপূজার পাশাপাশি একই দিন দীপাবলি উৎসবও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করেন। এরপর থেকে গত চারদিন শ্যামাপূজার নানা উৎসব-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।