বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল ও চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার আহ্বানে ৩০ নভেম্বর দেশব্যপী অর্ধ দিবস (৬ টা থেকে ২টা) হরতাল সফল করার লক্ষ্যে সিপিবি-বাসদ-বাম মোর্চা নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ফোরামের নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক তরিকুল সুজন, সদস্য সচিব অঞ্জন দাস, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ধীমান সাহা জুয়েল, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা রফিকুল ইসলাম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে। বর্তমান সরকার তার মেয়াদ কালে এই নিয়ে আট বার বিদ্যুতের দাম বাড়াল। সরকারের ভুলনীতি, দুর্নীতি, অপচয়, লুটপাট, ব্যাক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার জন্য দফায় দফায় বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। ভোক্তা সংগঠন ক্যাব, বিভিন্ন বামপন্থি, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, জ্বালানি বিশেষজ্ঞসহ সকল মহলের মতামত ও সমস্ত তথ্য, যুক্তি উপেক্ষা করে সরকার এক গোয়েমি করে বিদ্যুতের দাম আবারো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গত কয়েক বছরে গণশুনানিতে এ বিষয়ে বহুবার যুক্তি উত্থাপন করা হয়েছে কিন্তু গণশুনানির উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের ইচ্ছার বাস্তবায়নের লোক দেখানো আইনি পদক্ষেপ। এবারও ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানির দেয়া হিসাব এবং প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছিল বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা নেই। অপচয়-দুর্নীতি ও ভুলনীতির পথ পরিহার করলে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ১ টাকা ৫৬ পয়সা কমানো সম্ভব।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশি-বিদেশি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ী, এলএনজি ব্যবসায়ী, বিদ্যুৎ আমদানিকারকদের স্বার্থ দেখতে গিয়ে সাধারণ জনগণের উপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো হল। বিদ্যুৎ এমন একটি পরিষেবা যা অন্যান্য দ্রব্যের উৎপাদন খরচের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ফলে সরকার দাম বাড়িয়ে যত টাকা আয় করবে তার বহুগুণ খরচ বাড়বে সাধারণ মানুষের। এমনিতেই চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। তারপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বোঝা তাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলবে। জনগণ এ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত মুখ বুঝে মেনে নিবে না। মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
নেতৃবৃন্দ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল ও চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবিতে দেশবাসীর প্রতি আগামীকাল ৩০ নভেম্বর সকাল ৬ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল সফল করার জন্য আহ্বান জানান।