বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিশেষ সুবিধা পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী, পুলিশের বন্দুক লুটের মামলার আসামী ও চিহ্নিত বিএনপি নেতাদের আঃলীগের সদস্য বানানোর মূল হোতা বিতর্কিত আঃলীগ নেতা হাবিবুল কবির হাবিব দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে বায়তুর নূর জামে মসজিদের সম্পওি দখলের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । নাম না প্রকাশের শর্তে ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকার একাধিক বাসিন্দারা জানায়, ফতুল্লা ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সভাপতি হাবিবুল কবীর হাবিব জীবনের শুরুতে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত যুব ফ্রন্টের ক্যাডার হিসাবে তৎকালীন সহযোগী শাহ্জাহান, নাসিম আবেদীন, হুমায়ূন খন্দকার এবং পুলিশের ছেলে বাবলু দের সাথে নিয়ে ফতুল্লার আঃলীগারদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি, নির্যাতন করেও এখন এ এলাকার আঃলীগের সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। বিগত ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী গিয়াস উদ্দীনের পক্ষে পাইলট স্কুল কেন্দ্রে অনেকটা ই প্রকাশ্যেই কাজ করেন, গিয়াস এমপি হলে পরের দিন শিবির ক্যাডার পরাগ সিদ্দিকী কে সাথে নিয়ে কয়েকটি গাড়ী সহ সিদ্দিরগঞ্জের হীরাঝিলে গিয়ে গিয়াসের পাঁ ছুঁয়ে সালাম করে, নির্বাচনে তার ভূমিকা তুলে ধরেন এবং বিএনপির এমপি গিয়াস কে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে তৎকালীন সরকারের স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিতে শুরু করেন আর আঃলীগের নেতা-কর্মীদের উপর বিএনপি-জামাতের যে সকল ক্যাডারেরা নির্যাতন করছে তাদের সাথে গভীর সখ্যতা রেখে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতো হাবিব। ২০০৩ সালে আঃলীগের কমিটি গঠন হলে স্থানীয় আঃলীগের কয়েক জন ব্যক্তির সাথে সমঝোতা করে ওয়ার্ড আঃলীগের ৪নং সহ সভাপতি পদে আসীন হন এবং নির্বাচিত সভাপতি রমিজ উদ্দীন বাদশা মেম্বার দল থেকে পদত্যাগ করলে পরবর্তী ৩ সহ সভাপতিকে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে আসীন হন বহু রুপী চরিত্রের অধিকারী হাবিবুল কবির হাবিব। বায়তুর নূর জামে মসজিদের সেক্রেটারী পদ এবং আঃলীগের সভাপতি এ পদ পদবীর অপব্যবহার করতে এক পর্যায়ে বায়তুর নূর জামে মসজিদের পুরো সম্পওি দখল করতে ভূমি অফিসে আবেদন করেন এবং এবিষয়টি সকলে জানতে পারায় পরে মুসুল্লীরা সহ পুরো এলাকা বাসী ক্ষোভে ফেটে উঠে, পরবর্তীতে এলাকা বাসীর রোষানল থেকে বাচঁতে সকলের কাছে হাত জোড় করে মসজিদের সম্পওি দখলের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে বাধ্য হন তিনি। সুত্রের অভিযোগ আঃলীগের ওয়ার্ড সভাপতির পদ-পদবী ব্যবহার করে বায়তুর নূর জামে মসজিদের কমিটির সেক্রেটারী পদ দখল করে।
মসজিদের মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চট্রপটি ফারুক, তরকারির দোকান দার ফালু মিয়া, মুরগীর দোকান দার শাহ্ আলমের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় আঃলীগের বিতর্কিত সভাপতি হাবিব । নাম না প্রকাশের শর্তে বায়তুর নূর জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ বিতর্কিত আঃলীগ নেতা হাবিব মসজিদের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা চাদাঁ উওোলন করলেও মসজিদের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি এমন কি সেই টাকার কোনো হিসাবও দিতে পারেনি এসকল কারনে বিতর্কিত আঃলীগ নেতা হাবিবুল কবির হাবিব কে মসজিদ কমিটি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্হানীয় আঃলীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানায়, ৩ নং ওয়ার্ড আঃলীগের বিতর্কিত সভাপতি হাবিব বিশেষ সুবিধা নিয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকার নাসির মিয়া, খাঁ বাড়ী এলাকার সুমন, মোহন, শিবু ঘোষ, জলিল, শ্যামল, জলিলের শ্যালক পুলিশের বন্দুক লুটের মামলার আসামী ও মাদক ব্যবসায়ী টিপু, অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামী ইমদাদুল হক স্বপন সহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী,মাদক মামলার আসামী দের আঃলীগের সদস্য বানিয়েছেন। এছাড়াও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নব্য আঃলীগার ছাত্রলীগ নেতা মুন্না কে হত্যার চেষ্টা কারী সমালোচিত রফিকুল ইসলাম টিপু ওরফে বরিশাইল্যা টিপু এবং ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান কমিটির সিঃ সহ সভাপতি আঃজব্বার সহ চিহৃিত বিএনপি কলিমউদ্দীন, তার ছেলে ফারুক হোসেন, জৈন উদ্দীন দেওয়ান, সালাউদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন, আলেয়া দেওয়ান, জানে আলম রাজমিস্ত্রী সহ আরো কয়েক জন কে ।
এসকল বিষয়ে অভিযুক্ত বিতর্কিত আঃলীগ নেতা হাবিবুল কবির হাবিব বলেন, ভূল বশতঃ এসব হয়েছে, আমি সংশোধন করে নেবো।