বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে হেরে যাবে সেজন্য রেগে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৮ জানুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মাসব্যাপী মেলা ও লোকজ উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন- তারা তো শান্তিপূর্ন আন্দোলন করতে আগ্রহী না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সব লন্ডভন্ড করে দে মা লুটেপুটে খাই। ওই খাই খাই ভাব। সেজন্য নির্বাচন হলে তো শেখ হাসিনার সাথে পারবে না। তারা জানে ভোটে হেরে যাবে সেজন্য রেগে যাচ্ছে। ফখরুল সাহেব হাসপাতালে যায়, মির্জা আব্বাস এখনো হাসপাতালে। এই অসুস্থতা রাজনৈতিক অসুস্থতা নয়। কেন হঠ্যাৎ করে আন্দোলনের নামে হাসপাতালে চলে যায়। অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আওয়ামীলীগ শান্তি চাই। ক্ষমতায় আছি অশান্তি আমরা চাইনা। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। থাকবোও আমরা। এখানে বিএনপির সাথে পাল্টাপাল্টির কিছু নেই। বিষয় নয় কোন বিশেষ দিনও নয় সতর্ক অবস্থানে থাকবোও আমরা। এটাই আমাদের কর্মসূচি। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশের জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। আগুন সন্ত্রাস করতে আসবে। আন্দোলনের নামে যারা বাস গাড়ি ভাংচুর করবে এসব সহিংসতা করবে আমাদের এই অপকর্মের জবাব দিতে হবে এখানে কোন আপোষ নেই।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষ নেই। মুক্তি যুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষ নেই। অপসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ক্ষেত্রে কোন আপোষ নেই। যারাই এর বিরুদ্ধে দাড়াবে তাদের আমরা প্রতিরোধ করবো। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। বিএনপি উস্কানি দিচ্ছে সহিংসতার। তারা উস্কানি দিচ্ছে ভাংচুরের। তারা পুলিশের উপরে হামলা নিত্যদিনই তারা এই কাজটি করতে চাচ্ছে। অপচেষ্ঠা চালায় তার উপযুক্ত জবাব আমাদের দিতেই হবে।
এসময় তিনি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন
এই সোনারগাও জাদুঘরকে স্মার্ট বাংলাদেশের আদলে স্মার্ট জাদুঘর বানানোর দরকার নেই। আমি একবার ভুল করেছিলাম লালন শাহ এর স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার লালন শাহকে ইট পাথরের খাঁচায় বন্দী করেছি। এখন আমি কুষ্টিয়া গেলে আমার আক্ষেপ হয়। যে কেন এটা করলাম। তখন যারা এটা বিরোধীতা করেছিল সত্যিই বিরোধীতাটা সঠিক ছিল। কারন লালনকে ইট পাথরের খাচায় মানায় না। আমি আমাদের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে বলবো সোনারগায়ের এই কারুপল্লিকে এই জাদুঘরকে জয়নুল আবেদীনের স্মৃতিকে তার স্বপ্নে দেখা। ওনি ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কবি। আমাদের ঐতিয্য যেখানে কথা বলে সেই সোনারগাও জাদুঘরকে ইট পাথরের খাঁচায় বন্দী করবেন না।
এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, নেত্রকোনার আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পি এবং লোক ও কারুশিল্প অনুরাগী মোহাম্মদ আবুল হাশেম খান ও ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিমসহ প্রশাসনের কর্মকতারা।
এসময় ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাসব্যাপী মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।