বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শুধু যে আওয়ামীলীগ নেতাদের নসিহত করার ক্ষমতা পেয়েছেন তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টু তাই নয়,বিএনপি নেতাদেরকেও তুলোধুনো করতে ভুল করেন না তিনি। গত ১৫ জুলাই শুক্রবার বিকালে শাহি মহল্লা মাদ্রাসায় ঈদগাহ ও কবরস্থানে উন্নয়নে মতবিনিময় সভায় রীতিমত বক্তৃতার ঝড় তুলেছেন সেন্টু। আলোচিত-সমালোচিত যুদ্ধপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলানো রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর স্টাইলে তিনি দম্ভোক্তি করলেন, আমাকে দল চালায় না, আমি দলকে চালাই।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে গত নির্বাচনে দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে বহিস্কারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে চেয়ারম্যান সেন্টু বলেন,একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরে অনেকেই আমাকে বলেছে আপনিতো আমাদের দলের লোক। কিন্তু আমি বলেছি দলতো আমাকে বহিস্কার করেছে। তখন তারা বলে যে, ধুর বহিস্কার-টহিস্কার কোন ব্যাপার নয়, আপনি আমাদের দলের লোক। তখণ আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছিলাম, আপনারা যে স্টাইলে বিএনপি রাজনীতি করেন আমি সেভাবে দল করিনা। আমি আমার স্টাইলে রাজনীতি করি।
তিনি আরো বলেন, আমি যেভাবে দল করি সেভাবে যদি সকলেই রাজনীতি করতো তবে হানাহানি-মারামারি থাকতো না। আমার এ ধরনের রাজনীতি হয়তো আমার শীর্ষ নেতাদের পছন্দ হয়নি তাই আমাকে বহিস্কার করেছে। আমিও বলতে চাই, দল আমাকে চালায় না, আমি দলকে চালাই।
উল্লেখ্য,গত ২৩ এপ্রিল কুতুবপুর ইউপি নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে বাধা এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের দায়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এডঃ তৈমুর আলম খন্দকারের সুপারিশের ভিত্তিতে মনিরুল আলম সেন্টুসহ ৬জনকে বহিস্কার করে দল। পরে ৫জনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলেও সেন্টুর বহিস্কারাদেশ বহাল থাকে।
প্রসঙ্গতঃ যুদ্ধাপরাধী দাম্ভিক রাজনীতিবিদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীকে বিএনপি তেকে বহিস্কারের পর আবারো দলে ফিরিযে নিলে তিনি দম্ভোক্তি করে বলেছিলেন,“আগে জানতাম কুকুরে লেজ নাড়ায়, এখন দেখি লেজেও কুকুর নাড়ায়।”

