নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
তৃতীয় শ্রম আদালত ও সুপ্রীম কোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে বিআইডব্লিউটিসির ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের হক-বারেক পরিষদের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পরিষদের কার্যকরী সভাপতি কম্পিউটার অপারেটর মীর্জা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে ডকইয়ার্ডের দক্ষ মেকানিক শামীমের নেতত্বে একটি গ্রুপ। নির্বাচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আদায়কৃত চাঁদার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে এ সংঘষের ঘটনা ঘটে। এ সময় লস্কর জাকির হোসেন চুন্নুও মারধরের শিকার হয় বলে জানিয়েছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা লোকজন।
উল্লেখ্য,শ্রমিকলীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ সমর্থিত মোজাম্মেল হক- বারেক পরিষদ জোরপূর্বক ক্ষমতাবলে বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন(বি-১৭০০) করিমি মার্কেট দখল করে নেয়। এ অবস্থায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক মহসিন ভূইয়ার নেতৃত্বে উক্ত সংগঠনের কার্যালয় পরিবর্তন করে ২৭,লয়েল ট্যাংক রোড,নারায়নগঞ্জ ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়ে কার্যক্রম শুরু করে। তারপরেও সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী শুক্কুর মাহমুদ উক্ত সংগঠনের নেতৃত্ব আকড়ে ধরে রাখার লোভে পাল্টাপাল্টি কমিটির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানোর অপচেষ্ঠায় মেতে উঠে। এ নিয়ে রীট পিটিশনের দায়ের হলে তৃতীয় শ্রম আদালত ও সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ শুক্কুর মাহমুদ সমর্থিত করিমী মার্কেটের ঠিকানায় ওয়ার্কাস ইউনিয়ন-(বি-১৭০০) সংগঠনের কার্যক্রমের উপরে নিষেধাজ্ঞা দায়ের করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ক্ষমতার জোরে ৪ জুন শনিবার করিমী মার্কেটে উক্ত সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর নিমিত্তে নির্বাচনের আয়োজন করে এবং মহসিন ভূইয়ার নেতৃত্বে পরিষদকে ঠেকানোর জন্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী শুক্কুর মাহমুদকে সভাপতি ঘোষনা করে একটি কমিটি গঠন করে।
তবে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মোজাম্মেল হক -বারেক-মীর্জা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চক্র বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন ডকইয়ার্ড,ঘাটসহ ব্যাক্তিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। উক্ত চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগিকে ঘিরে অনুষ্ঠানে মীর্জা মোস্তাফিজুর রহমানের উপরে চড়াও হয় ডকইয়ার্ডের ভান্ডার রক্ষক আউয়াল,টার্নার আলফাজ এবং দক্ষ মেকানিক শামীমসহ কয়েক কর্মচারী। এ সময় মোস্তাফিজের পক্ষে এগিয়ে আসলে লস্কর জাকির হোসেন চুন্নুকেও মারধর করে ক্ষুদ্ধ সদস্যরা। এ নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে অন্যান্যরা এগিয়ে এসে মীর্জা মোস্তাফিজুর রহমানকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে সক্ষম হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ নিয়ে সংস্থার কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।