শাহরিয়ার প্রধাণ ইমন,বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
স্বাধীনতার পূর্বে নারায়নগঞ্জ মহকুমায় একমাত্র শহীদ মিনার ছিলো তোলারাম কলেজে যা কলেজের উত্তর পার্শ্বে ছিলো ১৯৭১ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জি,কে বাবুল আগারতলার জয় বাংলা অফিস থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনের অনুমতি নিয়ে সুব্রত হোটেলে স্থান নেয় একরাতের জন্য। সেখানে দেখা হয় বন্দর খান বাড়ীর সাহাবুদ্দিন খানের সাথে। সেখানে বহু কথোপকথন শেষে জি,কে বাবুল সাহাবুদ্দিন খানকে বুঝাতে চেষ্টা করেন যে, আপনি বি,কম পাশ আমি জি,কে বাবুল দশম শ্রেনীর ছাত্র। অর্থাৎ এস,এস,সি পরীক্ষার্থী। তাই বন্দরে আপনি নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আপনার হাতে। যদি আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে নেতৃত্ব নিতে পারেন। সাহাবুদ্দিন খান সিদ্ধান্ত নিতে না পারায়, পরের দিন সকালে আদমজী জুট মিলের নেতা সাইদুর রহমান সাদুর সাথে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ে আমি প্রশিক্ষণে যাওয়ার প্রস্তুতি নেই এবং সাহাবুদ্দিন খানকে বলি,বন্দর যাব অস্ত্র হাতে,স্বাধীন হবে,ক্লাব হবে,শহীদ মিনার হবে,পাঠাগার হবে,ফুটবল খেলার মাঠ হবে ইত্যাদি ইত্যাদি…… সেই আলোকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ২৮ ডিসেম্বর শহীদ মিনার স্থাপনের প্রেক্ষিতে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে জি,কে বাবুলের নেতৃত্বে সেই সভায় অংশগ্রহন করে,মোঃ সানোয়ার হোসেন,মিজানুর রহমান জলী,আব্দুল বাতেন মোল্লা, আবুল হোসেন, ও নাসির উদ্দিন,পরবর্তী সিদ্ধান্তে রেলওয়ের ইট দিয়ে তৈরি হয় শহীদ মিনারে সার্বিক অর্থায়নে ছিলেন এ,কে,এম খোরশেদ আলম এবং মিনারটির ঠিকাদারীত্বে ছিলেন কামেন আলী সরদার। এসব ইতিহাস চিরন্তন সত্য হলেও অনেকেই জানেনা। সুতরাং এসব জানা দরকার। সঠিক ইতিহাস না জানলে ভবিষ্যত প্রজন্ম কিছুই শিখতে পারবেনা।