বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় দৈনিক বিজয়ের সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন খুনের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে মামলার প্রধান আসামি তুষার।
১৪ অক্টোবর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালতে ওই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আজগর হোসেন বলেন, আদালতে তুষার সাংবাদিক ইলিয়াসকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সেটা বলেছে। তবে এখনও বিস্তারিত জবানবন্দির নথি পাইনি। তবে আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুষার জানিয়েছে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে সে ইলিয়াসকে হত্যা করে। এগুলো হলো, একই এলাকায় পাশাপাশি বসবাস ছিল সাংবাদিক ইলিয়াস ও তুষারদের। ২০১৮ সালে মাদক বিক্রির বাধা দেয়ায় শামীম নামে এক যুবকের সঙ্গে তুষারের ঝগড়া হয়। ওইসময় তুষার লাঠি দিয়ে শামীমের মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হয় শামীম। এ ঘটনায় তুষারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শামীম। আর সেই মামলা করতে সাংবাদিক ইলিয়াস উস্কানি দিয়ে ছিল ধারণা তুষারের। এছাড়াও এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইনের সংযোগ দেওয়ায় টাকা নিয়ে তুষার, ইলিয়াস, মাসুদ সহ আরো কয়েকজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এসবের জের ধরেই সাংবাদিক ইলিয়াসকে হত্যা করা হয়।’
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমাÐ মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গত গত রোববার রাতে বাসায় যাওয়ার পথে উপজেলার আদমপুর এলাকায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সাংবাদিক ইলিয়াসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ওই রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তুষারকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়। পরে ভোরে জিওধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিন্নাত আলী ও মিসির আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত ইলিয়াসের স্ত্রী ৮জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় গ্রেপ্তারকৃত তুষার (২৮), মিন্নাত আলী (৬০) ও মিসির আলী (৫৩)। আর পলাতক রয়েছে হাসনাত আহমেদ তুর্জয় (২৪), মাসুদ (৩৬), সাগর (২৬), পাভেল (২৫) ও হযরত আলী (৫০)।
নিহত ইলিয়াস উপজেলার জিওধরা এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় দৈনিক বিজয় পত্রিকার বন্দর সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতো।