বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু নয়, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত কর। করোনা পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের বেতন-ফি মওকুফ এবং করোনাকালীন সময়ে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সরকারি আর্থিক সহযোগিতা ও বাসাভাড়া, মেসভাড়া মওকুফের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বন্দর উপজেলার উদ্যোগে আজ সকাল ১১ টায় বন্দর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বন্দর উপজেলার আহ্বায়ক মুন্নি সরদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বন্দর উপজেলার সদস্য সচিব রাকিবুল হাসান রবিন, সদস্য ফাতেমা আক্তার মুক্তা প্রমুখ।
সুলতানা আক্তার বলেন, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আজকে হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে করোনা মহামারির আরও বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার দৈন্য দশা মানুষের সামনে আজকে স্পষ্ট। আবার এর মধ্যে সরকার এই মাস থেকে করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০০ টাকা এবং বাসায় ৫০০ টাকা এবং দেশের বাহিরে যারা যাবে তাদের ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছিল করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাপক করোনা পরীক্ষা করা। সেখানে ফি নির্ধারণের মধ্য দিয়ে সরকার ব্যাপক করোনা পরীক্ষা নিরুৎসাহিত করল। করোনাকালে শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষের আয় কমে গেছে। পরীক্ষার ফি নির্ধারণ দরিদ্র মানুষের করোনা চিকিৎসা সংকোচিত হল। সরকারের এ সিদ্ধান্ত দুর্যোগ মোকাবিলায় তার ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাকালে সাধারণ মানুষের সন্তানদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মেটানো সম্ভব নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হাত থেকে শিক্ষা জীবন রক্ষা করতে হলে শিক্ষার্থীদের বেতন ভাতা মওকুফ এবং সরকারের তরফ থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নগদ আর্থিক সহযোগিতা এবং অনাবাসিক ছাত্রদের বাসাভাড়াÑমেসভাড়া মওকুফের ব্যবস্থা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বন্দর সেন্ট্রাল ঘাটে টোল ফ্রি হওয়ায় সাধারণ মানুষ বিনা পয়সায় ঘাট পারাপার হতে পারত। কিন্তু ইদানিং আবার টোল নেয়া শুরু হওয়ায় বন্দরের ব্যাপক জনসাধারণের করোনাকালে আরেকটি ব্যয়ের বোঝা চেপেছে। অবিলম্বে ঘাটের টোল নেয়া বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ সারাদেশে করোনা পরীক্ষার ফি নেয়া বন্ধ করে সম্পূর্ণ বিনা মূূল্যে করোনা চিকিৎসা প্রদান, শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের বেতন-ফি, মেসভাড়া, বাসাভাড়া মওকুফ ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের নগদ সহযোগিতার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।