বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে বন্দরে পুলিশের উপর হামলার মামলায় জামায়াত নেতা কাজী মামুন (৩৬)কে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর ফাঁড়ী পুলিশ। গত শনিবার রাতে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং- ৭(২)১৮ ধারা- ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)২৫ (ঘ) তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইন (সংশোধনী/০২) এর ৩/৬। ধৃত জামায়াত নেতা কাজী মামুন বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডস্থ সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া এলাকার সিরাজ মুন্সির ছেলে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রæয়ারী ভোর ৬টায় বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার দূনির্তী মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ধৃত জামায়াত নেতা কাজী মামুনসহ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউছার আশা, মদনপুর এলাকার বিএনপি নেতা মাজহারুল ভূইয়া হিরন, বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম, সোনাকান্দা এলাকার বিএনপি নেতা পনেছ, নবীগঞ্জ কবিলেরমোড় এলাকার যুবদল নেতা নাজমুল হক রানা, একই এলাকার সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোস্তাকুর, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ, পুরান বন্দর মোল্লাবাড়ি এলাকার ছাত্রদল নেতা হুমায়ন কবির মোল্লা, দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার সেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাইদুর রহমান, চৌরাপাড়া এলাকার বিএনপি নেতা নেছার উদ্দিন, মালিবাগ এলাকার বিএনপি নেতা কালা মনির, সোনাকান্দা এলাকার জামায়াত নেতা কাজী মামুন, সালেহনগর এলাকার ছাত্রদল নেতা পিংকি, হরিপুর এলাকার যুবদল নেতা বালু মনির, একই এলাকার গ্যাস কাউছার ও মহানগর বিএনপি সহ-সভাপতি হাজী নূর উদ্দিনসহ অজ্ঞাত ৭০/৮০ জন বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কে গাছ ফেলে রেখে অরাজগতা সৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা ফেলাকৃত গাছ সড়ানোর র্নিদ্দেশ দেন। ওই সময় উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এ ব্যাপারে বন্দর ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক অজয় কুমার পাল বাদী হয়ে বন্দর থানায় নাশকতা আইনে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ জামায়াত নেতা মামুনকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে ।