বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ উপলক্ষে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রবেশ মুখে লাগানো মুজিব বর্ষ ক্ষণগননা ঘড়িটি গত বৃহস্পতিবার (১৩ফেব্রুয়ারী) থেকে বন্ধ রয়েছে। কয়েকদিন যাবত ক্ষণগননা ঘড়িটি বন্ধ থাকায় অনেকেই ছবি তুলে তা ফেসবুকে ভাইরাল করে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ক্ষণগননা ঘড়িটি উপর নজর না থাকায় ও ঠিকমতো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করায় ধুলো ময়লা পড়ে অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ঘড়িটি যেখানে বসানো হয়েছে তার নিচে কুকুর বিড়াল শুয়ে থাকে ও পাখিরা বসে ময়লা ত্যাগ করে।
এদিকে খবর পেয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। এসময় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে না পেয়ে তার সিএ রাশেদুল ইসলামকে ডেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এমপি খোকা বলেন, যেখানে সারা বাংলায় বঙ্গবন্ধুর ক্ষণগণনার ঘড়ি চলছে সেখানে আমার উপজেলায় ক্ষণগণনা বন্ধ থাকবে এটা হতে পারে না।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে এমপি খোকা বলেন, ‘‘আপনারা প্রতিদিন এখান দিয়ে উঠতেছেন-নামতেছেন অথচ এটা নষ্ট তা দেখেন না। নাকি, আপনারা বঙ্গবন্ধুকেই কেয়ার করেন না?’’
এলাকাবাসী জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শততম জম্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এ বছরটিকে সরকার মুজিব বর্ষ ঘোষনা করে ক্ষনগননার বসানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্ষণগননার উদ্বোধন করেন। আমাদের সোনারগাঁ উপজেলা সামনে গত ১০ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর উপজেলা প্রশাসনের সামনে ক্ষণগননা ঘড়িটি উদ্বোধন করা হয়। ঘড়িটি বসানোর পর এটিকে যত্ম না করায় ধুলোবালি পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। অপরদিকে, উপজেলা প্রশাসনের প্রবেশ মুখে লাগানো ঘড়িটি গত কয়েকদিন থেকে বন্ধ রয়েছে ও ঘড়িটির সামনে একটি কুকুর শুয়ে আছে অথচ প্রশাসনের কর্তকর্তারা এখান দিয়ে উপজেলা ভবনে প্রবেশ করেলেও ক্ষণগননার দিকে কারো দৃষ্টি নেই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রবেশ পথে বসানো ক্ষণগননার ঘড়িটির নিচে একটি কুকুর শুয়ে আছে। ক্ষণগননা ঘড়িটির বন্ধ। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নজর না থাকায় ক্ষণগননা ঘড়িটি ধুলোবালি জমে ময়লা হয়ে গেছে ও ঘড়িটির উপর বসে পাখি ময়লা ত্যাগ করছে এতে ক্ষণগননার ঘড়িটি ভিন্নররূপ ধারন করেছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুর রহমান খাঁননের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনটি ধরেনি।