বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লায় মুরাদ হোসেন নামে (৪১) এক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজ মুরাদ হোসেন সোনারগাাঁ থানাধীন কাঁচপুর বালুর মাঠ এলাকার মাহাবুবুল আলম এর ছেলে। সে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ফতুল্লা থানাধীন আজমীরীবাগ এলাকায় বসবাস করে আসছিল।
এদিকে, মুরাদ হোসেনের সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দুপুরে থানায় জি.ডি করেছেন তার স্ত্রী মোসাঃ রুজিনা মুরাদ।
জানা গেছে, বিভিন্ন হোশিয়ারী থেকে গেঞ্জি কিনে পাইকারীতে মার্কেটে বিক্রি করে আসছিল মুরাদ। পাশাপাশি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায়ও টুকিটাকি সাংবাদিকতার কাজে জড়িত ছিল সে। গত ১০ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে ব্যবসায়ীক কাজে বাসা থেকে বের হয় মুরাদ হোসেন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুরাদের মোবাইলে যোগাযোগ করেন তার স্ত্রী রুজিনা। সর্বশেষ মুরাদ জানান, সে চাষাড়া থেকে বাসার দিকে হওয়ানা হচ্ছেন। কিন্তু এরপর থেকে মুরাদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং সে বাসাও ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও মুরাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে পিতার সন্ধান না পেয়ে পাগল প্রায় হয়ে উঠেছে মুরাদের বড় মেয়ে সুমাইয়া আলম মৌমিতা (১০)। ছোট ছেলে মোঃ বিন আব্দুল্লাহ (৯ মাস বয়স) এখনও পরিনত বয়সী না হলেও অপলক চোখে যেন প্রিয় বাবাকেই খুঁজে বেড়ায় চারিদিক। অন্যদিকে প্রিয় স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে উঠেছে মুরাদের স্ত্রী রুজিনা মুরাদও।
রুজিনা বলেন, ‘আমাদের সংসার সুখেই চলছিল। কারো সাথে কোন মনমালিন্যতাই নেই। এবং আমার জানা মতে, আমার স্বামীর সাথে কারো কোন শত্রুতাও নেই। তাই এভাবে নিখোঁজ হওয়ার কারণটা প্রতিটা মূহুর্তের জন্য ভাবিয়ে তুলছে আমাদের। কিছুদিন আগেও নারায়ণগঞ্জের কালির বাজারের স্বর্ন ব্যবসায়ী আলোচিত প্রবীর হত্যাকান্ড কিন্ত এমনই ছিল। নিখোঁজ হলো, কোন খবর নেই। কিন্তু হঠাৎ……….! আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশের কাছে আমাদের একটাই দাবী তারা যেন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে আমার স্বামীকে অক্ষত অবস্থায় বের করতে পারে।’
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফাহায়াত উদ্দিন রক্তিম জানান, ‘থানায় জিডি নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’