বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। দেশ যখন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতেই কিছু অশুভ শক্তি জঙ্গী হামলা চালাচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর সময় ও ধর্মের নামে শ্লোগান দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতীশীল তৈরী করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একত্রিত ছিলাম বলেই তারা তা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল।
রবিবার বিকেলে ডিআইটি তে জাতীয় শ্রমিক লীগ মহানগর শাখার নব নির্বাচন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়ে দেশে আনা হয়। তখন থেকেই আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত। এরপর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে।২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিলেন ২০১২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবেন।তিনি মানুষের আয়ের মাত্রা বাড়িয়েছেন। আজ শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি মানুষ ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে। ডিজিটাল সেবার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ান অফ দ্যা আর্থ পুরস্কার পেয়েছেন।দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন তার এই সব উন্নয়ন কে ব্যার্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা কে মারার জন্য ২১ বার হত্যাকাণ্ড চালায় আর তারা ব্যার্থ হয়ে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে গ্রেনেট হামলা চালানো হয়। যে বিদেশীরা আমাদের ব্যবসা বানিজ্য করতে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাদেরকে হত্যা করেছে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদরা। এই হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে তারা বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। তারা আবারও শোলাকিয়ায় বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত হাতে তা দমন করেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর সপ্নের বাংলা গড়তে শেখ হাসিনা নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি নিয়েছে। আজ ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী সকল দেশের মানুষ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে কাজ করছে। যদি দেশের সকল মানুষ এই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি পালন করে তাহলেই এ দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন হবে ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনউদ্দিন আহাম্মেদ বাবুল প্রমূখ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আ্ওয়াসীলীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাহ শহীদ মো.বাদল, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি
শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোন অভিভাবক নেই। কিন্তু তৃণমূল আওয়ামীলীগ একজন অভিভাবক পেয়েছেন সে হল আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এই আনোয়ার ভাইয়ের নেতৃত্বে আমি ৭ জনকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে শ্লোগান দিয়েছিলাম ।।এর জন্য অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল। সে যে রাজপথে নামলাম আমি আজও রাজপথেই । বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদে বলেছেন, আমি শামীম ওসমান কে দেখে নিবো তিনি ঠিকই আমাকে দেখছেন ২০ টি তাজা প্রাণকে হত্যার মধ্যে দিয়ে । যে ২০ জন নিহত হয়েছিল তারা ছিল নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা । আজ আমরা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ তৃণমূল সকলকে নিয়ে ২০ বছর পর এক হয়েছি । এক হয়েছি মেয়র নির্বাচন করার জন্য নয় এক হয়েছি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে আর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। এই নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জ। আর কেউ যদি আওয়ামীলীগের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করবো।
শামীম ওসমান আরো বলেন, মেয়র আইভী আপনাকে একটা উপদেশ দেই আপনি আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চান। আমাদেরকে যত পারেন গালমন্দ করেন কিন্ত শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি কথাও বললে আমরা তাকে ছাড় দিবো না । কারন শেখ হাসিনা হল আমার মা আর মাকে কেউ গালমন্দ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না । আর তার সাথে আমরা কোন আপোষ করবো না । আপনি যদি প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমা চান তাহলে আমরা সব ভুলে গিয়ে আপনার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ কোন কিছুর জন্য রাজনীতি করে না । নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে শেখ হাসিনাকে ভালবাসে । ইসলামের নামে আল্লাহ আকবর বলে মানুষ হত্যা করা হয় । মানুষ হত্যা করা মহাপাপ তা যেও তারা ইসলামের নামে জঙ্গী হামলা করে মানুষদের হত্যা করছে । এই সব জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলে এদেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
