বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
প্রায় ২ মাস আগে বক্তাবলীর গোপালনগরের বাসা থেকে সাইনবোর্ড এলাকার মাদ্রাসায় গিয়েছিল ইসমাইল ওরফে রুবেল। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর ফতুল্লা মডেল থানায় তার বাবা জয়নাল আবেদীন করেছিলেন একটি জিডি ( জিডি নং-১৪০০)। তবে পুলিশ জিডি করার পর কোন তদন্তে যায়নি। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় পাগলপ্রায় তার হত দরিদ্র বাবা মা।
বিশ^রোডের জামিয়া আরাবিয়া তারাব মাদ্রসায় মেশকাত বিভাগের ছাত্র ইসমাইল ওরফে রুবেল। মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে ফতুল্লার বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগরে নিজের বাড়িতে বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিল সে। গত ২২ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বাসা থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয় ইসমাইল। এর কিছুদিন পর ইসমাইলের বাবা মাদ্রসায় গিয়ে দেখতে পায় যে, তার ছেলে উল্লেখিত দিন মাদ্রাসায় আসেনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের এমন কথায় ফতুল্লা মডেল থানায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডায়রী করেন বাবা জয়নাল আবেদীন। থানায় জিডি করার পর পুলিশের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন হতদরিদ্র জয়নাল আবেদীন ও তার পরিবার। কিন্তু জিডির তদন্তকারী অফিসার এসআই সাইদুজ্জামান নিখোঁজ ইসমাইলের ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহ দেখাননি।
নিখোঁজ রুবেলের মা বলেন,থানায় জিডি করতে গিয়ে আমার যা বলেছি সেভাবে জিডি নেয়নি পুলিশ । তারা কয়েকটি কথা বলে দিয়েছিলেন সেভাবে লেখা হয়েছে। আমি আমার ছেলের কোন খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে বারবার তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি। আমার ছেলে কোন সংগঠনের সাথে জড়িত নয়। তার কোন বন্ধু বান্ধবও ছিল না । মাদ্রসায় লেখাপড়া করা কি অন্যায় ? আমি যতোবার পুলিশের সাহায্য চেয়েছি ততোবার এসআই সাইদুজ্জামান আমাকে কোন সহযোগীতা করেনি।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক সার্কেল ) মো. শরফুদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশের দায়িত্ব জনগনকে সেবা দেয়া। জিডি তদন্তের জন্য যে অফিসারকে দেয়া হয় তার উচিৎ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।