বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মাণাধীন ৭টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ন বিনা বেতনে লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় আগামী ২০১৭ সালে ১ জানুয়ারী থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই ৭টি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফ্রি লেখাপড়া করার সুযোগ করে দেওয়া চেষ্টা করবেন বলে ঘোষণা দেন এমপি সেলিম ওসমান।
শনিবার ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সমরক্ষেত্র মাঠে সেলিম ওসমানের অর্থায়নে, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিন ব্যাপী ফলদ ও বৃক্ষ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দেন। সেই সাথে শিক্ষার মানোন্নয়নে বন্দরের কৃতি সন্তান জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœত্তত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম শাহনেওয়াজ চৌধুরীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ এবং বন্দরের সন্তান যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারী অথবা বেসরকারী ভাবে উচ্চ পদে কর্মরত আছেন তাদেরকে একত্রি করে একটি অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে ওই ৭টি স্কুলের শিক্ষার মান তদারকি করা হবে বলেও তিনি জানান। ওই অ্যাসোসিয়েশন থেকে নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে যা যা করনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ উচিত সেগুলোর বিষয়ে পরমার্শ দেওয়া হবে।
সেলিম ওসমান তার বক্তব্যে বলেন, আমি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করি। আমি তাদের লেখাপড়া নিশ্চিত করতে আমার নির্বাচনী এলাকার ৭টি ইউনিয়নে নতুন ৭টি স্কুল নির্মাণ করছি। আমি চেষ্টা করবো নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়ে আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিন থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৭টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে লেখাপড়া করার সুযোগ করে দিতে। আপনারা শুধু আমাকে সহযোগীতা করবেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœত্তত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম শাহনেওয়াজ চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল মুঈদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা হোসনে আরা।
প্রসঙ্গত সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নির্মাণাধীন স্কুল গুলো হলো, সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নে পুরান সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, আলীরটেক ইউনিয়নে শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়, মদনপুর ইউনিয়নে নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়, মুছাপুর ইউনিয়নে শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর ইউনিয়নে নাসিম ওসমান মডেল হাইস্কুল, কলাগাছিয়া ইউনিয়নে আলহাজ্ব খোরশেদুনেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে স্কুল গুলো নির্মানে সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৭ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন।

