বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদের মনোনয়ণপত্র বৈধ ২০৮ জন ও অবৈধ ১৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ণ পত্র যাচাই-বাছাই শেষে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং ব্যাংক ঋণ ও কর ফাঁকি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় কারনে মনোনয়ণপত্র বৈধ ও অবৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করা হয়।
বিএনপি দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, এখনো নির্বাচনের প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হয়নি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র জমা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার স্বার্থে তিনি সেনাবাহিনী নিয়োগ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের বদলীর দাবি জানান। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে আসেনি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার পক্ষে এসেছিলেন তার মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক আব্দুর রাশেদ রাশু। বিএনপি দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী নিয়োগ সংক্রান্ত দাবির বিরোধীতা করেন মেয়র আইভীর মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক আব্দুর রাশেদ রাশু। তবে পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার।
মো. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, জাসদের প্রার্থী নির্বাচনের মাত্র শুরু এখনো সোনাবাহিনী নিয়োগের সময় আসেনি। প্রয়োজন হলে দেখবো।
রির্টানিং অফিসার মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রতীক বরাদ্ধের আগে কোন প্রার্থী প্রচারনায় অংশ নিতে পারবেন না। প্রার্থী কিংবা তাদের কোন লোক প্রচারনায় অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর মনোনয়ন জমাদানের পর ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন। প্রথমদিনে ১ থেকে ১৮ নং ওয়ার্ডের ১২৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের প্রার্থীতা বাতিল ঘোষনা করেন রিটার্নিং অফিসার আর মহিলা সংরক্ষিত আসনের ৩৩জনের মধ্যে ১ জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়। পরের দিন সকালে মেয়র প্রার্থীদের বাছাইপর্বে সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হলেও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এড. সুলতান মাহমুদের বৈধতা বাতিল হয়ে যায়। এ ছাড়াও ১৯ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে বন্দরের যুবদল নেতা শাহেনশাহ সহ মাত্র ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। এদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বর তারিখের মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে আপিল করার পরামর্শ দেয়া হয়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর। ৫ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে এবং আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।