বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসা ও হকার নেতা আসাদুজ্জামানকে আটকের জের ধরে পুরো শহর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশের সাথে দফায় দফায় হকারদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সড়কের প্রায় ১০-১২ টি স্পটে হকাররা অগ্নিসংযোগ করে । ওই সময় হকাররা বিআরটিসি বাসসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ী ভাংচুরসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুরো শহরের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় হকার পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে প্রায় ১৫ জন। মঙ্গলবার বিকাল ৫ টা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে সন্ধ্যায় শত শত পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্পর্টে আগুন নিভিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে শহরের চাষাঢ়া থেকে ২নং রেলগেট পর্যন্ত প্রায় ১ থেকে দেড় হাজার হকার রাস্তায় বসার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতে বাঁধা দিচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে হকাররা শহরের রাস্তায় ফুটপাতে বসার জন্য মিছিল বের করে শহরের প্রেস ক্লাবের সামনে এসে জড়ো হয়। পুলিশ হকারদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে হকার- পুলিশ তুমূল বাকবিতন্ড শুরু হলে পুলিশ হকার নেতা আসাদুজ্জামানকে আটক করে। পরে হকার নেতা আসাদকে আটক করে রাখলে হকাররা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ওই সময় হকাররা ফুটপাতে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা কাপড়ে আগুন লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে বিভিন্ন স্পটে ছড়িয়ে দেয়। এতে পুরো শহরের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ হকাররা রাস্তায় থাকায় বিআরটিসি বাস, একটি প্রাইভেটকারসহ ডজনখানেক গাড়ী ভাংচুর করে। এর মধ্যে পুরো শহরের ১০-১২ টি স্পটে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হকাররা স্লোগান দিতে থাকে পূর্ণবাসন ছাড়া উচ্ছেদ মানি না মানব না। পরে শহরে প্রায় কয়েকশ পুলিশ এসে পুরো শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) সুভাষ সাহা জানান, আমরা ধৈর্য্যের সাথে ঘটনা মোকাবেল করছি। এ ঘ্টনা পুলিশের বেশ কয়েক জন ও সাংবাদিক আহত হয়েছে। হকারও আহত হয়ে থাকতে পারে। এ সব ঘটনায় আমরা পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেব। ফুটপাতে হকার বসতে না দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে।