বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে নতুন করে ৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ জেলাতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন। এই পর্যন্ত ২৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। যে কোন সময় প্রশাসন থেকে আসতে পারে লকডাউন। এমনই দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জনগন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে করোনার প্রভাবে সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এবং মৃত্যু ও আক্রান্তের পরিমান বাড়ায় পুরো নারায়ণগঞ্জকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লকডাউন চেয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান ও নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী।
জেলা সিভিল সার্জন জানান ডা, মুহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, শনিবার একজন ডাক্তার আক্রান্ত হয়ে ঢাকাতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তার সর্বশেষ অবস্থান আমার জানা নেই। ১৪ জন ও এর আগের দিন ১৩ জন সর্বমোট ২৭ জনের নমুনা আমরা সংগ্রহ করেছিলাম। এর মধ্যে ৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার (৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশীপর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুচিন্তানগর এলাকার এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে রাতে সদর ইউএনও ওই এলাকার ৩শ’ পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন। তবে নারায়ণগঞ্জে প্রথম ৩০ মার্চ করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার পুতুল (৫০) নামের এক নারী। ঘটনার দুইদিন পর ২ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের বিষয়টি শনাক্ত হয়।
নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় জেলার নন্দীপাড়া, পাইকপাড়া, দেওভোগ, বাবুরাইল, কাশীপুর, বন্দর রসুলপুর ও ফতুল্লার লামাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন ঘোষনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও কাউন্সিলরা। এতে প্রায় এক হাজারের বেশী পরিবার লকডাউনে রয়েছে।