বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
করোনার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ন এলাকা রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ। আর এই এলাকাগুলোতেই লকডাউন অমান্য করে নানা অজুহাতে অবাধে প্রবেশ ও বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন স্থানে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সমারোহ। সড়কের বেশীরভাগ পয়েন্টেই ছিলনা পুলিশের তেমন উপস্থিতি। আবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের প্রবেশের মূল চেকপোষ্টগুলোতে দেখা মিলে পুলিশের কিছুটা তৎপরতা।
করোনার প্রভাবে গনপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতই ছিল যানবাহন চলাচল। ঢাকায় প্রবেশ কিংবা বের হওয়ার মূল পয়েন্টে সিএনজি, অটো রিকশা, প্রাইভেটকার, ট্রাক, রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রী মোটর সাইকেলে করে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ প্রবেশের মাঝ পয়েন্ট সাইনবোর্ড এলাকায় দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন উপস্থিতি। আবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের প্রবেশ ও বাহিরের মূল চেকপোষ্টগুলোতে দেখা মিলে পুলিশের কিছুটা তৎপরতা। কারন হিসেবে লোকবলের স্বল্পতার কথা তুলে ধরেন পুলিশ চেকপোষ্টগুলোতে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা। যার কারনে ভেঙ্গে পরছে লকডাউন।
তারা জানান, লোক স্বল্পতার কারনে সব জায়গায় থাকতে পারছি না আমরা। লকডাউনে মানুষ বের হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞেস করলে নানা কারন দেখাচ্ছে। কারনগুলো বাস্তবতার সাথে মিলে যাওয়ার কারনেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও আমরা যতটুকু পারচ্ছি সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মেইন পয়েন্টগুলোতে দেখা মিলে মানুষ ও যানবাহনের দীর্ঘ চাপ। জীবিকার তাগিদ ও নানা কারন দেখিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন অনেকে। যতটুকু পারছেন সুরক্ষা নিয়েই চলছেন তারা।
গাড়ির যাত্রীরা জানান, সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই বের হচ্ছি। কাজে গেলে বেতন পাবো। আর কাজ করলে খেতে পারবো না হলে পারবো না।
গাড়ির চালকরা জানান, বাড়িতে খাবার নেই। গাড়ি বের করছি পেটের দায়ে। যতটুকু পারছি সুরক্ষা নিয়েই বের হচ্ছি। পুলিশ চেক করছে কিন্তু আমরা লুকিয়ে যতটুকু পারছি যানবাহান চালাচ্ছি।
এদিকে বিকেএমইএ ্ও বিজেএমইএ এর কারখানা চালুর ঘোষনার কারনে শ্রম মন্ত্রালয়ের নির্দেশনার আগেই বেশীরভাগ শ্রমিকরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ইতোমধ্যে ডুকে গেছেন। যার কারনে প্রবেশের সড়কগুলোতে তেমন দেখা মিলেনি শ্রমিকদের। এ অবস্থায় করোনা প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরো কঠোর তৎপরতা প্রয়োজন হয়ে পরেছে।