বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি। আইইডিসিআর এর তথ্য মতে জেলায় গত চব্বিশ ১৫০ জন সহ মোট ৮৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে মৃত্যুবরন করেছেন মোট ৪২। করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ ও লকডাউনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জ। আর এর মধ্যে খোলা হয়েছে ১৫৮টি গার্মেন্টস কারখানা। সীমিত পরিসরে কাজ শুরু করেছে এসব কারখানার মালিকরা। শ্রমিকরাও চাকরি হারানোর ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে তাদের কর্মস্থানে যোগদান করেছেন।
গার্মেন্টস মালিকেরা জানান, বিকেএমইএর সদস্য ভুক্ত যারা আছে তাদের শুধু স্যাম্পল, নিটিং ও ডায়িং সেকশন চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মে থেকে গার্মেন্টস পুরোদমে কাজ শুরু হবে। কারখানাগুলো করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কারখানার বাইরে শ্রমিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। আজ সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানা উৎপাদন শুরু করে। তবে বেশীরভাগ শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন ভাতা নিতে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন বলে জানায় শ্রমিকরা। মার্চ মাস থেকে তারা বেতন পাননি সেই বেতন পরিশোধ না করে তাদের মালিকরা তাদের গার্মেন্টসে আসতে বলেছেন।
উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ। পরবর্তীতে সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর রোববার থেকে সীমিত পরিসরে ধাপে ধাপে কারখানা খোলার সিন্ধান্ত নেয় সংগঠন দুটি।
করোনার হটস্পট নারায়ণগঞ্জে জেলায় আজ সর্বোচ্চ আক্রান্তের পরিমান। এদিকে করোনা ভাইরাসের ২০তম দিনে শহরে জীবন যাত্রার মান ছিল স্বাভাবিক। খানপুর ৩০০ বেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮জন রোগি ভর্তি হয়েছে। সিভিল সার্জনের সহকারী সহ তার পরিবারের ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের এক চিকিৎসক সহ মোট ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বেসরকারীভাবে কয়েকটি স্থান থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।