নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী-সমর্থকদের মাঝে উল্লাস-উৎসব ততই বেড়ে চলছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বর্ধিত সময়সীমার প্রেক্ষিতে প্রতীক বরাদ্ধের আরো কয়েকদিন বাকী থাকলেও দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক ইতোমধ্যে বরাদ্ধ দেয়ায় নির্বাচনী মাঠ অনেকটা সরব করে রেখেছে আওয়ামীলীগ-বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ঘোষণা আসায় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যেই মাঠে থেকে ভোট প্রার্থণা করতে দেখা যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় ধামগড় ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বাছাই নিয়ে জটিলতা দেখা দিলেও দলের হাই কমান্ড হতে থানা যুবলীগের শ্রম ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মাসুম আহমেদ মনোনীত হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দূরীভূত হয়ে অনেকটা নৌকার প্রার্থীর জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আওয়ামীলীগের কোন নেতা-কর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনমুখী হলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় নির্দেশণা থাকা স্বত্ত্বেও দলীয় সমর্থনবঞ্চিত প্রার্থী আলমাস ভূইয়া সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে তার প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। নীতি বর্হিঃভূতভাবে আলমাস ভূইয়া নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখায় ধামগড় ইউনিয়নের সর্বস্তরের আওয়ামী নেতৃবৃন্দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করছে। কারো কারো মতে,দলীয় কমান্ড উপেক্ষার কারণে দল থেকে বহিস্কার হতে পারেন আলমাস ভূইয়। এদিকে দলীয় প্রতীক লাভের পর হতে নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে তুলেছেন নৌকার প্রার্থী মাসুম আহমেদ। হেভিওয়েট প্রার্থী মাসুম আহমেদের বিপরীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ধামগড় ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আয়নাল হকের ছেলে কামাল হোসেনকে দেয়া হলেও মাসুম আহমেদের বিপক্ষে নির্বাচন করে কতটা কামিয়াব হতে পারবে সে বিষয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। যোগ্য প্রার্থী বিবেচনায় ধামগড় ইউনিয়ন জুড়ে মাসুম আহমেদ ও কামাল হোসেনের নাম উঠে আসলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩শ’ বছরের পুরণো শ্মশানের জায়গা নিয়ে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি এবং নানা বিতর্কের কারণে অনেকটা কামাল হোসেনকে অনেকটা বেগ পেতে হতে পারে বলে এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় ভোটারদের অনেকেই। ভোটাররা এও জানায়,বীরমুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হক ছিলেন খাঁটি মানুষ। তার মধ্যে লোভ-লালশা,হিংসা-বিদ্বেষ জুলুমবাজীর কোন মানুষিকতা ছিলনা। তার ছেলেরা অনিচ্ছাকৃত হলেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় ওইসকল বিতর্কই কাল হয়ে দেখা দিতে পারে এবারের নির্বাচনে।
ওভারটেক করতে গিয়ে