বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মঈনুল হক, সিভিল সার্জন ড. আশুতোষ দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক)গাউছুল আযম, নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মমীন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিজেএফআই এর কর্মকর্তা মেজর মো. গোলাম কবির, নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী নৌ পুলিশ সুপার খন্দকার মালেকুর জ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিস উপ পরিচালক দিনমনি সরমা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আনসার কমান্ডার মঞ্জুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আফরোজা আকতার চৌধুরী, রুপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফারজানা ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলার নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক দীলিপ মন্ডল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কমান্ডার গৌপিনাথ সাহা, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটম চন্দ্র পাল, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি কমলেশ সাহা, যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সাহা, ফতুল্লা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মল্লিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক শিশির ঘোষ অমর, বন্দর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর কুমার, রুপগঞ্জ থানা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি কৃষ্ণ গোপাল, সোনারগাঁ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত , আড়াইহাজার থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি প্রদীপ কুমার, গোপাল জিউড় আখড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তারপদ আচার্য্য, বলদেব জিউড় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পী সহ জেলার সাতটি থানার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
সভাপতির বক্তব্যে রাব্বী মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা । বিগত দিনের প্রতিটি উৎসবই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে পালন করেছেন। সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা । আর এই উৎসবকে উদযাপন করার জন্য সনাতন ধর্মের মানুষ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসব পালন করতে যাচ্ছেন। এই শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন করার ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। যাতে করে হিন্দু ধর্মের মানুষ গন শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশের মাধ্যমে এই শারদীয় দূগা পূজা উদযাপন করতে পারেন।
এ সময় তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপন করার জন্যে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করা, প্রতিটি পূজা মন্ডপ জুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা করার জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ডপ কর্তৃপক্ষকে জোড়ালো ভাবে আহবান জানিয়েছেন। যাতে করে আইন শংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বিঘ্নে মনিটরিং করতে পারে।
তবে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জেলার প্রতিটি মন্ডপে রাত ৯টার মধ্যেই পূজার কার্যক্রম শেষ করতে নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়াও সম্প্রীতি রক্ষায় আজান ও নামাজের সময় প্রতিটি পূজা মন্ডপে মাইক ও সকল ধরণের সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখার জন্যে তাগিদ দিয়ে নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেন প্রতিটি পূজা মন্ডপে র্যাব, পুলিশ ও আনছার বাহিনীর সদস্য সহ ২৪ ঘণ্টাই অতিরিক্ত গোয়েন্দা পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের দিন শহরে পূজা মন্ডপ সংশ্লিষ্ট সড়ক গুলোতে বাস ও ট্রাক সহ ভারি যান চলাচল বন্ধ করা হবে। বিসর্জনে আশা দর্শনার্থীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে প্রতিমা বিসর্জন করতে পারে, সেই লক্ষেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জনের সময় সংশ্লিষ্ট স্থানে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারীর পাশাপাশি এম্বুল্যান্স সহ মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল উপস্থিত থাকবে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
পুলিশ সুপার মঈনুল বলেন , সনাতন ধর্মের মানুষগন যেন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভাবে দূর্গা পূজা উদযাপন করতে পারে তার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি পূজা মন্ডবে টহল ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি পূজা মন্ডবে একটি করে কন্ট্রোল রুম থাকবে যাতে করে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমরা জানতে পারি ও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে করতে পারি। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আরও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। শারদীয় দূর্গা পূজা ও অন্যান্য উৎসবকে সামনে রেখে কিছু সংখ্যক চক্র চুরি ও ছিনতাই কাজে লিপ্ত হয়। এই সব চুরি ও ছিনতাই চক্রের হাত থেকে জন সাধারণের রক্ষার্থে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

