বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার সম্পৃক্ত ঘটনাস্থল তদন্ত করতে পরিদর্শন করেছেন তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া আল্লামা ইকবাল রোডস্থ আজমেরী ওসমানের তৎকালীন উইনার ফ্যাশন নামে ভবন পরিদর্শন করে তদন্ত করেন র্যাব। পরে ত্বকীর লাশ পাওয়া ঘটনাস্থল কুমুদিনী ওয়ালফেয়ার ট্রাষ্টের পিছনের অবস্থিত শীতললক্ষ্যা নদীর পাড়ে পরিদর্শন করেন তারা।
এসময় র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা সাংনাদিকদের বলেন, ২০১৩ সালে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়। এ ঘটনার মামলার ভার দীর্ঘদিন যাবৎ তদন্ত কাজ র্যাবের কাছে রয়েছে। তদন্তের শুরুতে কিছুটা অগ্রগতি ছিল। মাঝখানে স্থবির হয়ে পরার পরে। র্যাবের হেডকোয়াটারের গাইডলাইনে এখন আমরা পুনরায় তদন্ত কাজে গতি পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমরা এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে কাজল নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বাকীরুক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। বাকীরা রিমান্ডে রয়েছে। তার জবানবন্দীতে এবং অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ত্বকী যেখানে অপহরণ করে হত্যা করা হয় এবং যেখানে লাশ ফেলা হয় সেই ঘটনাস্থলগুলো তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত গ্রেপ্তারকৃত শিপনকে নিয়ে ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করছি। তার কাছে তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি একটি সুষ্ঠু রিপোর্ট আমরা শীঘ্রই দিতে পারবো।
তৎকালীন ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে ও ও গ্রেপ্তারকৃত শিপনের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখেছি। তৎকালীন কলেজ রোড উইনার ফ্যাশন কোথায় কোন রুমে ত্বকীকে রাখা হয়েছিল এবং হত্যা করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো তদন্ত আমরা মিল পাচ্ছি বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। একদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যায় মেলে ত্বকীর লাশ। ত্বকী হত্যার সাথে ওসমান পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছেন বলে শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছে তার পরিবার। তবে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এই হত্যকাণ্ডের তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। এ ঘটনায় নতুন করে শুরু হয়েছে তদন্ত কাজ ও সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার কাজ।