বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকান্ড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। শনিবার (৬ মার্চ) রাতে চ্যানেল আইয়ের ‘মুখ-মুখোশ-মুখচ্ছবি’ শিরোনামে টিভি টকশোতে এ ঘোষণা দেন তিনি। সাংবাদিক সোমা ইসলামের সঞ্চলনায় এই সময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল।
মেট্রোসেম টু দ্য পয়েন্ট’ নামক অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেন, ‘ত্বকী হত্যা নিয়ে সম্ভবত এবার কথা বলার সময় হয়েছে। আমি একটা প্রেস কনফারেন্স করবো এবং আমি সেখানে কিছু তথ্য প্রমাণ দিবো। যেহেতু ত্বকী হত্যার বিচারে আমাদের দিকে অনেকে আঙ্গুল দেন। আজকে আপনার মাধ্যমেই বলতে চাই আমি প্রেস কনফারেন্স করে কিছু জিনিস দিবো।’
আলোচিত সাত খুন হত্যা মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেভেন মার্ডারের পরেও আমার দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছিল। তারাই কিন্তু ফেসেছে। আর যারা সেভেন মার্ডার করেছে তারাই কিন্তু এই (ত্বকী) হত্যার তদন্ত করেছে। সেখানে প্রয়োজন হলে যারা ভিকটিম তাদের পছন্দের লোক নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক।’
‘আজ ত্বকী হত্যার ৮ বছর। সেখানকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে যখন সেখানকার জনগণ বা একটি শ্রেণি আপনার দিকে আঙ্গুল তুলে সেই তদন্ত নিজ দায়িত্বে বা তাদের পরিষ্কার করে দেবার জায়গা কি দিয়েছেন?’ সাংবাদিক সোমা ইসলামের এমন প্রশ্নের জবাবে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি আমার নিজেরটাই তো পারি নাই। আমার উপর বোমা হামলা হয়েছে ২০ বছর হয়ে গেছে। আমি সেভেন মার্ডারের আধা ঘন্টায় বলে দিয়েছিলাম। পরে সেটা কিন্তু সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এটাও বলছি যদি প্রয়োজন হয় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক তাহলে দেখবেন সত্য বেরিয়ে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলা হচ্ছে খসড়া চার্জশিট। যারা বলছেন এই খসড়া চার্জশিটের কথা তারা দেখাক না এই খসড়া চার্জশিটটা। তারপর আমিও দেখি কী আছে এতে৷ কিছু ডকুমেন্ট দিবো। আমার কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। দু’জন লোক গিয়েছিল সে সময় ওই র্যাব অফিসারদের কাছে। সেখানে যেকোনো একজন র্যাব অফিসার বলেছিল, তোমরা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে চলে যাও নাহলে তোমাদের মেরে ফেলা হবে, তারা দেখেছিলো ঘটনাটা।’
‘আপনার কাছে এত তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আপনি সব উপস্থাপন না করে সমস্ত দোষের আঙ্গুল আপনার দিকে তুলছে, আপনি বসে আছেন?’
এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার দিকে যারা আঙ্গুল তুলছে তারা কিন্তু সামান্য মানুষ। এরকম আঙ্গুল অনেকে তুলে। কুকুর যদি আমার সাথে ঘেউ ঘেউ করে আমিও কি ঘেউ ঘেউ করবো। আমি শুধু সবার কাছে দোয়া চাই যাতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে পারি। আমি জানি যদি ধৈর্য ধরতে পারি তাহলে সত্যটা প্রমাণ হবেই।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ওইদিন সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন পিতা রফিউর রাব্বি। দুই দিন পর ৮ মার্চ সকালে শহরের পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যার শাখা খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। ওইদিন রাতে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় মামলা করা হয়।